বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক বলেছেন, আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে গুম-খুনের শিকার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে। তাদের পাশে আমরা থাকব।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্ট ভবনের প্রধান ফটকের সামনে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, সীমান্তে এখনো মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু এসব ঘটনা কোনো সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে না। গুমের শিকার ব্যক্তিরা যতদিন ফিরে না আসবেন, আমি তাদের পরিবারের সন্তানদের পাশে থাকব। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করব। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের দায়িত্ব আমরা নেব।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর দেশে গুম-খুনের ঘটনা অব্যাহত ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও তারা কেন ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তাদের সন্তানরা লাঞ্ছিত ও অবহেলিত অবস্থায় আছে। আগের সরকারের সময় রাষ্ট্র একপ্রকার জেলে পরিণত হয়েছিল। ভারতীয়দের সহযোগিতায় তারা এক পাপের সরকার গঠন করেছিল। সেই সরকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ কাউকেই রেহাই দেয়নি। এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও ছাড়েনি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বন্ধ রাখতে আরেকটি গোষ্ঠী ভারতের সঙ্গে আঁতাত করে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠা যেন না হয়, তারা সেই পাঁয়তারা করছে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে দেশের অনেক সমস্যা থেকে যাবে, আইনের শাসনও প্রতিষ্ঠিত হবে না। আয়োজক সংগঠনের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত, জড়িতদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। আমরা চাই গুমের শিকার পরিবারগুলোকে যেন আর রাজপথে দাঁড়িয়ে কাঁদতে না হয়, তাদের মুখে আবারও হাসি ফুটুক।
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইউটি/টিকে