অন্তর্বর্তী সরকারের কোন কোন উপদেষ্টা একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এসব উপদেষ্টা সভায় কী বক্তব্য দেন, এর খবরও তার কাছে আছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তাহের অভিযোগ করে বলেন, একটি দলের লোকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে বসিয়ে নীলনকশার নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ডা. তাহের বলেন, প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ করে নিরপেক্ষ লোকদের পদায়ন করুন। আজকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই না। আজকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ, সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে নাম আছে। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তারা কী বক্তব্য দেন, এর খবর আছে। আমরা জনগণের কাছে আপনাদের এখন প্রকাশ করছি না। সুযোগ করে দিতে চাই। আপনাদের সংশোধনের জন্য সময় দিতে চাই। যদি সময়মতো সাবধান না হোন, তাহলে জনসমক্ষে নাম প্রকাশ করা হবে।
পিআর নিয়ে তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার পরও যদি সরকারের কানে না যায়, সরকার যদি জনগণের চোখের ভাষা, মুখের ভাষা না বোঝে, তবে সরকার যেই ভাষা বুঝতে চায়—জনগণের দাবি আদায়ে সেই ভাষায় দাবি আদায় করা হবে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার যদি সড়ক অবরোধ চায়, সরকার যদি রাজপথ উত্তাল দেখতে চায়, তবে জামায়াতে ইসলামী ইচ্ছার বিরুদ্ধেও সেই কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
ডা. তাহের বলেন, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের টেস্ট ম্যাচ হতে পারে। তিনি বলেন, যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় না, মেনে নিতে পারছে না—তারা যুক্তি দেখাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে জনগণ ভোটের প্রতি আস্থা হারাবে, যার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, যারা গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। কারণ, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসবে। নতুন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তারা ভোট চুরি করতে পারবে না, কেন্দ্র দখল করতে পারবে না। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি হয়ে গেলে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। এ জন্য তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ঠেকাতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
পিআর নিয়ে তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার পরও যদি সরকারের কানে না যায়, সরকার যদি জনগণের চোখের ভাষা, মুখের ভাষা না বোঝে, তবে সরকার যেই ভাষা বুঝতে চায়—জনগণের দাবি আদায়ে সেই ভাষায় দাবি আদায় করা হবে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার যদি সড়ক অবরোধ চায়, সরকার যদি রাজপথ উত্তাল দেখতে চায়, তবে জামায়াতে ইসলামী ইচ্ছার বিরুদ্ধেও সেই কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
ডা. তাহের বলেন, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের টেস্ট ম্যাচ হতে পারে। তিনি বলেন, যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় না, মেনে নিতে পারছে না—তারা যুক্তি দেখাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে জনগণ ভোটের প্রতি আস্থা হারাবে, যার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, যারা গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। কারণ, গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসবে। নতুন ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে তারা ভোট চুরি করতে পারবে না, কেন্দ্র দখল করতে পারবে না। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি হয়ে গেলে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। এ জন্য তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ঠেকাতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
ইউটি/টিএ