জুলাই সনদ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফাটা বাঁশে (বেকায়দায়) পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। বিভিন্ন সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এসব করতে গিয়ে বিএনপি বলতেছে একটা, জামায়াত বলতেছে একটা আর এনসিপি বলতেছে আগে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। গণভোট নির্বাচনের আগে দিতে হবে। দুইটা ভোট হবে, গণভোট হবে আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
এদিকে ছয়টা সংস্কার কমিশনে প্রায় ৮৪টা সংস্কার প্রস্তাব করা হইছে। এটা তো বিরাট একটা অ্যাচিভমেন্ট। এ ব্যাপারে সনদে স্বাক্ষর করবে। সেই স্বাক্ষর হলেও বিশ্বাস নেই। এটা বাস্তবায়ন হবে কি না। সুতরাং আগেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে অবিশ্বাস করে তাদের আসামি করা। এটা আত্মঘাতী।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এত বড় গুরুদায়িত্ব নিতে যাবে কেন? কেন হইছে গণ-অভ্যুত্থান? বাংলাদেশে সুষ্ঠু ভোট নেই। নির্বাচিত সরকার নেই। সুষ্ঠু ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকার আসবে। তাদের ওপরে চাপ তৈরি করে বলতে হবে, এইগুলো আমরা চাই। অথবা নির্বাচনের আগে পাবলিকের কাছে যাও পাবলিকের কাছ থেকে জাতীয় নির্বাচনের ম্যান্ডেট নাও।
এই সহজ জিনিসটা না করে, এই কমিশনসহ নানা কিছু করে লাখ লাখ কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য নানামুখী তৎপরতা। নানামুখী পানি ঘোলা করতে করতে শেষ করে দিচ্ছে। যদি গণ-অভ্যুত্থানের ৩-৪ মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়ে যেত তাহলে আর এত কথা হতো না। নির্বাচনটা না হওয়ায় নানা রকম সংকট দেখা দিচ্ছে। এটা শুধু অন্তর্বর্তী সরকার না আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করি। আরো সময় যাবে, দেখবেন আরো ক্রাইসিস আসবে। ক্রাইসিস থামবে না। এটা চলতেই থাকবে।
এসএস/টিএ