ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীর ভর্তি ফাইলে ইনজেকশন লিখার সময় এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে রোগীর স্বজনরা। তার নাম রুদ্র প্রতাপ ওরফে সজিব বর্মন(৩৪)।
বৃহস্পতিবার (১৬অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই যুবক আনসার সদস্যের হেফাজতে আছেন।
ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজন লিটন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, তার শ্বশুর অরুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আজ বেলা ৩টার দিকে ওই যুবক পাশের বেডে এসে মামুন (১৭) নামে এক যুবকের কাছে এসে বলে সে হাসপাতালের বড় ডাক্তার। শুক্রবার ও শনিবার হাসপাতালে আসতে পারবো না, তাই আজকে ইনজেকশন লিখে দিয়ে যাচ্ছি। এরপর ১১০ টাকা দাবি করে। পরে আরও ৫০০ টাকা দাবি করে। এরপর বলে আমাদের মোবাইল দেন সেখান থেকে আপনাদের নাম্বার লাগবে।
তিনি আরও বলেন, তখন আমাদের সন্দেহ হলে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়কে ডেকে নিয়ে আসি। এ সময় ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে দৌড়ে ধরে ফেলি। পরে আনসার সদস্যদের তাছে তুলে দেই।
অভিযুক্ত রুদ্র প্রতাপ ওরফে সজিব বর্মন বলেন, তার বাড়ি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায়। বঙ্গবাজারে একটি দোকানে কাজ করেন। হাসপাতালে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে বলেন, ১০০ টাকার জন্য হাসপাতালে এসেছিলাম। তবে সে ইনজেকশন লিখেনি বলে জানান। তবে সে চিকিৎসক পরিচয় দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. সেলিম মিয়া বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ওই ভুয়া চিকিৎসককে হাতেনাতে ধরে ফেলে রোগীর স্বজনরা। পরে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের কাছে তুলে দেয়। বিষয়টি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উনারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, এই যুবক দুই থেকে তিন মাস আগে একবার এসেছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করে। তবে এই যুবক মোবাইল চুরি করতেই হাসপাতালে ঢুকেন।
এসএন