ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলামের ফল ঘোষণার পর তা বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধান করে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো জেলার নবীনগর নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিজয়নগরের নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চান্দপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ঘোষিত ফলাফল বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৬টি জেলার ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এরমধ্যে পাস করেছে ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
কুমিল্লা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে একজনও পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬ জন এবং চান্দপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউ এবার পাস করতে পারেনি।
জেলার উল্লিখিত এ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল জানার পর এ নিয়ে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষক সংকট, একাডেমিক দুর্বলতা, শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব- এসব কারণেই এমন ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফল বিশ্লেষণ করে আমরা শতভাগ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এমন ফলাফল না হয়, সেজন্য দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক তদারকি বাড়িয়ে শিক্ষকদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনব।
এবি/টিকে