আমাদের বোধহয় আর মুক্তি নেই, সেই একই ধারা অব্যাহত আছে: জিল্লুর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমাদের বোধহয় আর মুক্তি নেই। সেই একই ধারা অব্যাহত আছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সনদে যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে সে কলমগুলো জাদুঘরে স্থান পাবে। নির্বাচন হবেই ফেব্রুয়ারি মাসে।

উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। আনন্দের সঙ্গে জুলাই সনদ, এই ঐতিহাসিক ঘটনা পৃথিবীতে আগে কখনো ঘটেনি। বাংলাদেশে তো বটেই। আমরা আবারও বোধহয় সেই অতিকথনের জগতেই ঢুকে পড়েছি।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, কি আছে এই জুলাই সনদে? নিঃসন্দেহে অনেক ভালো ভালো কথা। নিঃসন্দেহে আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোতে ধারণ করা আছে। কিন্তু এই ধারণা বাস্তবায়ন হবে কিনা বা এই ধারণার বিষয়ে আমরা সবাই একমত কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই।

জুলাই সনদ যারা সবচাইতে বেশি চেয়েছে এনসিপি, তারাই এখন বলছে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না। আরো চারটি বামপন্থী দল ঘোষণা দিয়েছে তারা এই সনদে স্বাক্ষর করবে না। তাদের বক্তব্য হচ্ছে এই সনদের মধ্যে কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমাদের স্বাধীনতার মূল অঙ্গীকারের পরিপন্থী বা সেটাকে খর্ব করা হয়েছে।

জিল্লুর বলেন, কেউ যদি মনে করেন, এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান এই সেলিব্রেশন বিদেশীদের ডেকে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডেকে, উপদেষ্টারা থেকে, ঐকমত্য কমিশন থেকে, প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতে একটা ঐতিহাসিক কার্যক্রম হচ্ছে আমি মনে করি সবটাই একটা পণ্ডশ্রম। এগুলো দিয়ে আসলে কিছু হবে না।

জিল্লুর আরো বলেন, রাজনীতিটা আসলে ঠিকঠাক মত করতে হয়। নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হয়। আন্তরিকতার সঙ্গে করতে হয়। রাজনীতির মধ্যে দেশপ্রেমটা থাকতে হয়। দলের প্রেমটাও থাকতে হয়। তবে দেশের ঊর্ধ্বে গিয়ে নয়।

ব্যক্তির চাওয়া থাকতে পারে। কারণ মানুষ ছাড়া তো রাজনীতি হবে না। মানুষ ছাড়া দল হবে না। মানুষ ছাড়া নেতা হয় না। মানুষ ছাড়া সংসদ হয় না। মানুষ ছাড়া মন্ত্রিসভা হয় না। সেগুলো আমরা জানি। কিন্তু তারপরও এক ধরনের অনেস্টি তার চাইতে বড় কথা ইন্টিগ্রিটি থাকা দরকার।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শহীদ আবদুর রবের স্মৃতিতে কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি ও জিএস Oct 18, 2025
img
চাহিদা মোতাবেক বরাদ্দ দিলে সার সংকট হবে না Oct 18, 2025
ঘুম থেকে উঠে নবীজি যে আমল করতেন | ইসলামিক টিপস Oct 18, 2025
'আজকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে আসিফ মাহমুদরা' Oct 18, 2025
img
খুলনায় পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর Oct 18, 2025
ছন্দে ছন্দে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের Oct 18, 2025
যে কারণে সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন নাহিদ Oct 18, 2025
টিকিট বুকিংয়ে আবারও প্রতারণা Oct 18, 2025
img
সিলেটে রিয়াদ ফেরত একটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ Oct 18, 2025
img
আগুন লাগার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে দেখি না: সারজিস Oct 18, 2025
img
জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করে ইতিহাস গড়ল এনসিপি : রনি Oct 18, 2025
সয়াবিন তেলে ২০ গুণ বেশি মার্কারি! Oct 18, 2025
শাপলা এবং শাপলাই হবে এনসিপির মার্কা: নাহিদ Oct 18, 2025
জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে যা বলছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুক Oct 18, 2025
'আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী গতকাল বিশৃঙ্খলা করেছে' Oct 18, 2025
কেন সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি? জানালেন নাহিদ Oct 18, 2025
img
গিলের কাছে নেতৃত্ব হারানোর ভয় সূর্যকুমারের Oct 18, 2025
আলোচিত ৭০ নং অনুচ্ছেদে একমত দলগুলো! Oct 18, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি Oct 18, 2025
ছাত্রদল প্যানেলের বিজয়ী ক্রীড়া সম্পাদক বললেন, রাকসু নির্বাচন হয়েছে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর Oct 18, 2025