বৈধতার বদলে নতুন বিতর্ক জন্ম দিতে পারে গণভোট : জিল্লুর রহমান




রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি পূরণ না করলে গণভোট বৈধতার বদলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেছেন, দলীয় বিভাজনের ভেতরে যেসব গণভোট হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আস্থাহীনতা বেড়েছে। রাজনৈতিক বৈধতা আসে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সকলের অংশগ্রহণ ও তথ্যভিত্তিক সামাজিক সম্মতির মাধ্যমে। তাই সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের ব্যাকস্টপ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি পূরণ না করলে গণভোট বৈধতার বদলে নতুন বিতর্কই জন্ম দিতে পারে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট; একই দিনে দুটো ব্যালট, দুটো গণনা, দুটো আইনি প্রভাব বাংলাদেশের ভোটার, প্রশাসন ও নিরাপত্তা কাঠামো এই দ্বৈত প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত কি? যারা মাঠে বুথ ম্যানেজ, যারা ফলাফল ট্যাবুলেট করে, যারা আপত্তি-নিষ্পত্তি সামলায়, তাদের ওপর চাপ দ্বিগুণ হবে।

জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় যন্ত্রপাতি, মানবসম্পদ ও লজিস্টিক— সবখানেই অনিশ্চয়তা ও বিতর্কের উদাহরণ আছে। সেখানে একই দিনে দ্বৈত ব্যায়াম করলে গণ্ডগোলের সম্ভাবনা আরো বাড়বে।

প্রযুক্তিগতভাবে আলাদা তারিখে গণভোট করলে পর্যবেক্ষণ প্রচার-বিতর্ক সবই মানসম্মতভাবে করা সহজ হয়। এই বিচারে একসঙ্গে আয়োজনের তারাহুড়া বাস্তবসম্মত বলে মনে হয় না।

এই উপস্থাপক বলেন, যে সনদের ওপর গণভোট চিন্তা করা হচ্ছে, সেটি শুধু প্রতিষ্ঠান সংস্কারের কথা বলে না। ক্ষমতার ভাগাভাগি, জবাবদিহিতার নতুন সূত্র এবং আগামীর ক্ষমতা কাঠামো নিয়ে সমীকরণ টেনে দেয়।

স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতার প্রতিটি পক্ষ এতে নিজের সার্থকতা খোঁজে এবং আশঙ্কাও রাখে। সনদের একটি বিশেষ ধারা যদি সংবিধানের ঊর্ধ্বে মর্যাদা দেওয়ার ব্যাখ্যায় চলে আসে, তাহলে আদালত, নির্বাহী ও আইনসভা— তিন পক্ষের মধ্যে নতুন টানাপোড়েন তৈরির ঝুঁকি থাকে। এ ঝুঁকিগুলো প্রকাশ্যে আলোচনা, উদাহরণসহ ব্যাখ্যা ও বিকল্প নকশা এসব না দিলে ব্যালট বাক্সে জনরায় নেওয়া মানে ভোটারকে ব্লাইন্ড চয়েসে ঠেলে দেওয়া।


আইকে/এসএন





Share this news on:

সর্বশেষ

img
আড্ডায় শাহরুখ, সালমান ও আমিরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ Oct 18, 2025
img
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: সেরা রান সংগ্রাহক সম্পর্কে ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী Oct 18, 2025
img
আমার মনে হয় শাকিব খানের কিছু বলা উচিত ছিল : জাহিদ হাসান Oct 18, 2025
img
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত : তারেক রহমান Oct 18, 2025
img
পাসপোর্ট ফিরে পেলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী Oct 18, 2025
img
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াল কাবুল ও ইসলামাবাদ Oct 18, 2025
img
লালপুরে একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন বাবা-মেয়ে Oct 18, 2025
img
জুলাইযোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন নুর Oct 18, 2025
img
রাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানালেন ছাত্রদলের ভিপি-এজিএস প্রার্থী Oct 18, 2025
img
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ : পরিসংখ্যানে কারা এগিয়ে Oct 18, 2025
img
তীরে এসে নৌকা ডুবার আতঙ্ক বাড়ছে : গোলাম মাওলা রনি Oct 18, 2025
img
রূপকথার প্রত্যাবর্তনে শীর্ষে পিএসজি Oct 18, 2025
img
রুপালি গিটার ছেড়ে যাওয়ার ৭ বছর আজ Oct 18, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভারতীয় ব্যাটারের Oct 18, 2025
img
১০১ বছর বয়সী জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু Oct 18, 2025
img
চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক টেকসই নয়: ট্রাম্প Oct 18, 2025
img
কার কাছে অস্ত্র জমা দেবো? অস্ত্রসমর্পণ নিয়ে প্রশ্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর Oct 18, 2025
img
৯ বছরে প্রথম এমন দুর্দশায় পড়ল ব্রাজিল Oct 18, 2025
img
বিয়ে করলেন ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী জায়রা! Oct 18, 2025
img
৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি Oct 18, 2025