অনেকদিন ধরেই ভারতীয় দলে অনিয়মিত মোহাম্মদ শামি। গত ওয়ানডে বিশ্বাকাপে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানোর পর থেকেই ফিটনেস নিয়ে ভুগছেন ভারতের তারকা পেসার। আর ফিট থাকলেও নানা অজুহাতে তাকে দলের বাইরে রাখেন অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজেও ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি শামির। কারণ হিসেবে নির্বাচকরা ফিটনেসের দোহাই দেয়ার পর পাল্টা জবাব দিয়েছেন শামি।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতীয় দল এখন অস্ট্রেলিয়ায়। এই দলে মোহাম্মদ শামিকে বিবেচনা না করার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বলেছিলেন, শামির ফিটনেস নিয়ে তার কাছে কোনো আপডেট নেই। এর জবাবে শামি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নির্বাচকদের উদ্দেশে বলেছেন, তিনি বেঙ্গলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন, সেটাই প্রমাণ করে যে তিনি ফিট, আর নিজের ফিটনেস সম্পর্কে বোর্ডকে জানানো তার কাজ নয়।
গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২৫-এ প্রশ্ন করা হলে আগারকার বলেন, 'যদি শামি সত্যিই ফিট থাকতেন, তবে তাকেও দলে বিবেচনা করা হতো।'
শামি অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড়। উত্তরাখণ্ডের বিপক্ষে রঞ্জি ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে 'স্পোর্টস্টার'কে তিনি বলেন, 'ওরা যা খুশি বলুক। আপনি তো দেখেছেন আমি কেমন বোলিং করেছি। সবকিছুই আপনার চোখের সামনে।'
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সেই ম্যাচেই দারুণ এক স্পেলে চার উইকেট নিয়ে শামি বেঙ্গলকে আট উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছেন। শেষ দিনে উত্তরাখণ্ড ২ উইকেটে ১৬৫ রান নিয়ে খেলতে নামে। অধিনায়ক কুনাল চাণ্ডেলা ৬৮ ও ভূপেন লালওয়ানি ১২ রানে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু শামি ছন্দ খুঁজে পেতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
২৪.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচে চার উইকেট নেন শামি। সকালে তিনি প্রথমে চাণ্ডেলাকে ৭২ রানে এলবিডব্লিউ করেন, লাঞ্চের পর ফের এসে ঝটপট তিন উইকেট তুলে নেন। আউট করেন অভয় নেগি, জনমেজয় জোশি এবং রাজন কুমারকে।
১৭৩/২ থেকে হঠাৎ ভেঙে পড়ে উত্তরাখণ্ডের ইনিংস, শেষ আট উইকেট হারায় মাত্র ৯২ রানে। শেষ পর্যন্ত তারা ২৬৫ রানে গুটিয়ে যায়। প্রশান্ত চোপড়া (৮২) ও চাণ্ডেলা ছাড়া কেউই তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেঙ্গল ২৯.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ৮২ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়ে আনেন। ছয়টি বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজান তিনি।
ইএ/টিকে