ঢাকা লিগের সমস্যা সমাধানে এবার এগিয়ে এলো কোয়াব। বিদ্রোহ করা ৩৮ ক্লাবের সঙ্গে বৈঠক করবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ২ হাজারের বেশি ক্রিকেটারের রুটি রুজির প্রশ্নে নিজেদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন।
এক বিসিবি নির্বাচনের জেরে জটিলতা ঢাকা লিগে। একযোগে ৩৮ ক্লাবের সব ধরনের লিগ বয়কটের ডাকে প্রায় ২ হাজার ক্রিকেটারের জীবিকা হুমকিতে। তবে, মাঠের খেলায় এর প্রভাব ঠেকাতে এবার এগিয়ে আসলো কোয়াব।
কদিন আগে সিসিডিএম চেয়ারম্যান জানান, প্রথম বিভাগ লিগের সমস্যা অনেকটা সমাধানের পথে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রথম বিভাগ লিগ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করারও প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে, শঙ্কা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগ নিয়ে। বিদ্রোহ করা বেশিরভাগ ক্লাবই খেলে এসব লিগে। প্রিমিয়ার লিগ নিয়েও আছে জটিলতা।
লিগ বর্জন করা ৪৮ ক্লাবের মধ্যে আছে আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুরের মতো বড় ক্লাবগুলো। বিসিবি ও ক্লাবের এমন জটিলতায় অনিশ্চয়তা ক্রিকেটাররা। কারণ লিগের মাস চারেক বাকি থাকলেও কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি কোনো ক্লাব। এমন পরিস্থিতির সমাধান চায় কোয়াব। বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
কোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আসলে সবাই জানি যে, ‘আপনারা জানেন বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা ক্লাবগুলোর সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের একটা সমস্যা চলছে। তো এই ব্যাপারে আমরা আসলে কোনো কমেন্টস করতে চাই না। প্লেয়ারদের স্বার্থে আমরা কোয়াব থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। যেন সামনে যে টুর্নামেন্টগুলা আসবে, ঢাকা লিগগুলা আসবে- এই লিগগুলা যেন আমরা খেলতে পারি। তো এই বিষয়ে উনাদের সঙ্গে আমাদের একটা আলোচনা হয়েছে। উনারা আমাদেরকে আগেই আশ্বস্ত করেছিলেন আমাদের সঙ্গে উনারা বসবেন, আলোচনা করবেন। তো ফাইনালি উনারা আমাদের সাথে বসতে রাজি হয়েছেন ‘
‘মেইনলি আমরা ওই প্যানেলটার সঙ্গে বসতে চাই যারা খেলতে আগ্রহী নন, বা খেলতে চাচ্ছেন না। তো আমরা উনাদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করবো, যেন প্লেয়ারদের কথা উনারা চিন্তা করেন। দেখেন আপনারা সবাই জানেন ঢাকা লিগে অলমোস্ট প্লেয়ার, কোচ, বয়, ফিজিও, ট্রেইনার- সব মিলিয়ে আপনি দেখবেন ২ হাজারের বেশি প্লেয়ার এখান থেকে আর্ন করে। এই ঢাকা লিগ তাদের আর্নিংয়ের একটা মেইন সোর্স। তো এই টুর্নামেন্টটা যদি বন্ধ হয়ে যায়, ২ হাজার মানুষ মানে ২ হাজার ফ্যামিলি, তো এই ২ হাজার ফ্যামিলি কিন্তু হুমকির মুখে পড়বে। কারণ আপনারা লাস্ট বছরও দেখেছেন, ঢাকা লিগটা কিন্তু যেভাবে নরমালি হয় সচরাচর, সেভাবে কিন্তু হয়নি। বিভিন্ন ইস্যুর কারণে প্লেয়াররা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তো এই বছরও যদি সেইম জিনিসটা হয়, তাহলে আমার ডাউট যে প্লেয়াররা কতটুকু সারভাইভ করতে পারবে। তো এই ইস্যুটা মাথায় রেখেই মেইনলি উনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা, তো উনারাও আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন আমাদের সঙ্গে বসবেন এবং আশা করছি একটা পজিটিভ কিছু আমরা জানাতে পারবো।’
অতীতে ঢাকা লিগ নিয়ে নানা অভিযোগ এসেছে ক্রিকেট মহলে। ফিক্সিং, পেমেন্ট ইস্যুসহ ঘটেছে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ক্রিকেটারদের এবার নতুন বোর্ডের কাছে চাওয়া ভিন্নতা। কিন্তু লিগ নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা মরার ওপর খাড়ার ঘা।
যদিও বিসিবি'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ক্রিকেটারদের এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিছুটা সমস্যা থাকলেও বিদ্রোহ করা ক্লাবগুলোকে নিয়েই খুব শিগগিরই সব বিভাগের লিগের নির্দিষ্ট সময় চূড়ান্ত করা হবে।
এসএস/এসএন