এই মৌসুমে মেসি এখন পর্যন্ত ২৯ গোল করে এমএলএস-এর সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে শীর্ষে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তার আগের হ্যাটট্রিকটি এসেছিল গত বছরের ১৯ অক্টোবর, নিউ ইংল্যান্ড রেভলুশনের বিপক্ষে ৬-২ গোলের জয়ে।
ইন্টার মিয়ামির ডিফেন্ডার ইয়ান ফ্রে ম্যাচের বলেন, `মেসি আমাদের প্রতিটি ম্যাচে বাড়তি সুবিধা এনে দেয়, তার সম্পর্কে যতই বলি কম বলা হবে।‘
খেলার ৩৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এক দুর্দান্ত শটে মেসি ম্যাচের প্রথম গোল করেন (২৭তম গোল), মিয়ামিকে ১-০ ব্যবধানে এগিযে দেন। কিন্তু ৪৩তম মিনিটে ন্যাশভিলের স্যাম সারিজ হেড করে দলকে সমতা ফেরান।
প্রথমার্ধে ন্যাশভিল ইন্টার মিয়ামিকে ১১-৪ শটে ছাড়িয়ে যায় এবং অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে হানি মুকতারের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে জ্যাকব শাফেলবার্গ রিবাউন্ড থেকে গোল করে ২-১ ব্যবধানে দলকে এগিয়ে দেন।
৬২তম মিনিটে অ্যান্ডি নাজারের হ্যান্ডবলের কারণে মিয়ামি পেনাল্টি পায় এবং মেসি তার দ্বিতীয় গোলটি করে স্কোর সমান করেন ২-২। মাত্র চার মিনিট পর, বালতাসার রদ্রিগেজ বক্সের মাঝামাঝি থেকে গোল করে মিয়ামিকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
ইয়ান ফ্রে বলেন, `শেষের দিকে আমাদের মানসম্পন্ন ফুটবলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমাদের দলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা আছেন। প্রতিপক্ষ যেই হোক, আমাদের মানসিকতা একই থাকে।‘
৮১তম মিনিটে মেসি তার তৃতীয় গোলটি করেন, বাম পায়ে বক্সের মাঝখান থেকে দুর্দান্ত এক শটে। অতিরিক্ত সমযে টেলাসকো সেগোভিয়া মায়ামির পঞ্চম গোলটি যোগ করেন, ফলে ম্যাচ শেষ হয় ৫-২ ব্যবধানে।
ন্যাশভিল কোচ বি. জে. ক্যালাহান বলেন, `আমরা মেসিকে ঠিকভাবে আটকাতে পারিনি, বিশেষ করে শেষ ২৫ গজে। ও যখনই সুযোগ পেয়েছে, সেটাকে গোল বানিয়েছে।‘
এই হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে মেসি এমএলএসে গোল্ডেন বুট ও এমভিপি প্রতিযোগিতায় অনেক দূর এগিয়ে রয়েছেন। এখন তিনি দ্বিতীয় স্থানে থাকা সারিজ ও লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির দেনিস বুয়াঙ্গার চেয়ে ৫ গোল এগিয়ে।
১৯ জয়, ৭ ড্র ও ৮ পরাজয়ে মৌসুম শেষ করেছে ইন্টার মিয়ামি, পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সে তৃতীয় স্থানে থেকে। প্লে-অফের প্রথম রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ আবারও ন্যাশভিল, যারা ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে (১৬ জয়, ১২ হার, ৬ ড্র)।
ক্যালাহান বলেন, `এটা প্লে-অফ ধাঁচের ম্যাচ ছিল এবং আমরা কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে কিছু শিক্ষা নেওয়ার মতো ভুল করেছি।‘
টিজে/টিকে