এর চেয়ে বাজে উইকেট গায়ানাতে ছিল: রিশাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় মিরপুরের উইকেট। ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর তো সে আলোচনা হয়েছে তারও তীব্র। উইকেট এতটাই মন্থর ছিল যে ২০৭ রান করেও ৭৪ রানের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে তাই সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন টাইগার রিস্ট স্পিনার রিশাদ হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, উইকেট তাদের হাতে নেই। যেমন উইকেট-ই হোক মানিয়ে খেলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানাতে এর চেয়েও বাজে উইকেটে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়েছিল।

রিশাদ বলেন, ‘আসলে উইকেট ওদের জন্য যেমন ছিল, আমাদের জন্য একই ছিল। আপনি দেখবেন যে এর চেয়ে কিন্তু বাজে উইকেট গায়ানাতে ছিল। তো আমরা কিন্তু ওটা অ্যাডজাস্ট করে খেলেছি। তো আমার মনে হয় যে দুই টিমের জন্য কিন্তু সমান ছিল। তো আশা করি বুঝতে পারছেন যে সমান থাকলে হয়তোবা কাভার করা যায়। এটা (উইকেট) তো আমাদের হাতে নেই। আমাদেরকে যেভাবেই হোক, যেমন উইকেটই দেয়া হোক না কেন, আমাদের খেলতে হবে। আমরা শুধু চেষ্টা করি যেন যেভাবেই হোক, যেমন উইকেট দিক, আমরা মানিয়ে নিয়ে খেলার চেষ্টা করি।’

শনিবারের (১৮ অক্টোবর) ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে জয় এনে দেওয়ার পথে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন রিশাদ। ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। কীর্তি গড়েছেন প্রথম বাংলাদেশি ডানহাতি স্পিনার হিসেবে ফাইফারের।

বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে রিশাদ বলেন, ‘আসলে তেমন কিছু বলার নেই। এটা আমার কাজ, আমাকে করতেই হবে। সবাই আজ একটু ভুগছিল, আমি চেষ্টা করছিলাম সেরাটা দিতে। আমার কাজই এটা।’

এদিন শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলেন রিশাদ। ৪৭.৩ ওভারে ১৮২ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানো দলকে দুইশ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কারিগর তিনি। ১৩ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৬ রানের ঝড়ো ক্যামিওটি উপহার না দিলেও বাংলাদেশ দুইশ পেরোতে পারতো না।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে রিশাদ বলেন, ‘আমি যেখানে ব্যাটিংয়ে নামি সেখানে আমার রোলটা হচ্ছে কীভাবে একটু বাড়তি রান করা যায়, দলের জন্য যেটা ভালো হয়। যে জায়গায় ১৮০ হয় সেখানে যদি ২১০–২১৫ হয়, আমার জন্য ভালো হয়। আমার রোল এটা, আমি চেষ্টা করেছি আলহামদুলিল্লাহ হয়েছে। আমি বুঝি আমার দলের জন্য কী দরকার। চেষ্টা করেছি আমি একটু ভালো করলে দলের জন্য এটা ভালো হবে।’

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগামী ২১ অক্টোবর মুখোমুখি হবে দুদল।

 কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনছে বিএনপি Oct 19, 2025
img
পহেলা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা Oct 19, 2025
img
সংঘর্ষে জরালো ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা Oct 19, 2025
img
এমন দুর্বলতা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে : জাহেদ উর রহমান Oct 19, 2025
img
জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে ইসি: নাসীরুদ্দীন Oct 19, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে পেশাদারিত্ব পালনের আহ্বান সিইসির Oct 19, 2025
img

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন Oct 19, 2025
img
এমন কোনো শক্তি নেই যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে : জয়নুল আবদিন ফারুক Oct 19, 2025
img
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না : সেলিম Oct 19, 2025
img
৫০ বছরের প্রথা ভাঙল সৌদি, ‘কফিল’-থেকে মুক্তি পাচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিকরা! Oct 19, 2025
img
৫ শতাংশ আবাসন ভাতায় উপকৃত হবেন ৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী Oct 19, 2025
img
লন্ডনে ১৬তম বইমেলায় গাইবেন সাবিনা ইয়াসমিন Oct 19, 2025
img
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম : আলী রিয়াজ Oct 19, 2025
img
নিরাপদ-দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Oct 19, 2025
img
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে আমার বক্তব্যের আংশিক প্রচার হয়েছে : সালাহউদ্দিন Oct 19, 2025
img
হ্যাট্রিকের পাশাপাশি গোল্ডেন বুট জিতলেন মেসি Oct 19, 2025
img
শ্রমিকদের কর্মবিরতির ডাকে অচল চট্টগ্রাম বন্দর Oct 19, 2025
img
জাতিসংঘের অর্থসংকটে দেশে ফিরছে ১ হাজার ৩১৩ শান্তিরক্ষী Oct 19, 2025
img
ইসি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে : হাসনাত আবদুল্লাহ Oct 19, 2025
img
যুদ্ধ বিরতির পর বিপদে পড়েছেন নেতানিয়াহু Oct 19, 2025