পার্থের গরম সকালে যেন আগুন ছুড়লেন মিচেল স্টার্ক। ভারতের টপ অর্ডারের সামনে ছুড়ে দিলেন গতি, আগ্রাসন আর নিখুঁত সুইংয়ের মিশেলে তৈরি এক জাদু মন্ত্র। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে তাঁর উইকেট নয়, বরং একটি ডেলিভারি যার গতি দেখিয়ে স্পিড গান যেন নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারেনি!
ইনিংসের প্রথম বল। রোহিত শর্মার উদ্দেশে ছোড়া বলটি স্পিড গান দেখায় ১৭৬.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম বলই হয়ে যেত! সেই ডেলিভারি নিয়ে রীতিমতো নেটিজেনরা হইচই শুরু করেছেন।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, মেশিনের ভুলে বলের স্পিড এত বেশি দেখিয়েছে। বাস্তবে স্টার্কের বলটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার। আর তাঁর সবচেয়ে দ্রুত বৈধ ডেলিভারিটিও রোহিতের বিপক্ষেই আসে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে।
প্রথম স্পেলে স্টার্ক ছিলেন বেশ ভয়ংকর। প্রথম পাঁচ ওভারেই ১ মেডেনসহ মাত্র ২০ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। তাঁর আগুনঝরা স্পেলের শিকার হন বিরাট কোহলি। ৮ বলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এর আগেই রোহিত শর্মাকে ভুগিয়েছেন স্টার্ক। পার্থের বাউন্সি উইকেটে বলের গতি আর উচ্চতা মিলিয়ে একের পর এক ব্যাটারকে নাচিয়ে ছাড়েন তিনি। রোহিত শুরুতেই চাপে পড়ে যান, ১৪ বলে করেন মাত্র ৮ রান। শেষ পর্যন্ত জশ হ্যাজলউডের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে ফিরে যান ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
ভারতের ইনিংসের চিত্রটা বলছিল সবকিছু পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ২০২৩ সালের পর ওয়ানডেতে ভারতের সবচেয়ে বাজে শুরুর একটি এটি। যদিও ১৭৬.৫ কিমি/ঘণ্টা গতির সেই বল বাস্তবে মানবসম্ভব নয়। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এর চেয়েও স্টার্কের স্পেলটি ছিল বেশি রোমাঞ্চকর।
এসএস/টিএ