জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আমাদেরকে প্রতিদিন ইলেকশন কমিশন বলছে শাপলা প্রতীক দেওয়া যাবে না। কেন দেওয়া যাবে না এই প্রশ্নে তারা কোনো যৌক্তিক কথা বলতে পারছে না। তারা আমাদেরকে বলছে এই প্রতীক দেওয়া যাবে না, কারণ এটা নাকি সংবিধানে জাতীয় প্রতীক। আমরা বললাম এটা তো কোনোভাবেই জাতীয় প্রতীক না।
কেন জাতীয় প্রতীক না, সেটা আমরা তাদের কাছে হাজির করলাম। তারা বলছে কেন প্রতীক দেব না, এটা আমরা ব্যাখ্যা করবো না। আমরা যে প্রতীক দেব সেই প্রতীক নিতে হবে। তারা আমাদেরকে খাট, পালঙ্ক, চেয়ার, টেবিল এই ধরনের প্রতীক দিতে চায়।
সম্প্রতি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তুষার বলেন, কেন আমরা এই প্রতীক চেয়েছি? এই প্রতীক বাংলাদেশের মানুষের অন্তরের মধ্যে আছে। এই প্রতীক বাংলাদেশের। এই শাপলা ফুল, বাংলাদেশের মানুষের একটা ভালোবাসার জিনিস।
সারোয়ার বলেন, আমাদের সাথে যারা মশকরা করছে, এই ইলেকশন কমিশন আপনাদেরকে আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই যদি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে এই ধরনের অন্যায় আচরণ করা বন্ধ করেন। আপনাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আগামীতে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটার পথে সবচেয়ে বড় বাধা এই ইলেকশন কমিশন নিজে।
তুষার আরো বলেন, তারা চায় না জাতীয় নাগরিক কমিটি ইলেকশনে আসুক। কেন? কারণ, বাংলাদেশের মানুষ এই জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে। এইজন্য ইলেকশন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আদৃশ্য শক্তির পরামর্শে, তাদের দ্বারা আশকারা পেয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটিকে ন্যায্য হক থেকে বঞ্চিত করছে। ইলেকশন কমিশন বাংলাদেশ থেকে পালানোর জায়গা পাবে না যদি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে শাপলা প্রতীক না দেয়।
এবি/টিকে