পরিবার থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে শুরু করি: দিলজিৎ দোসাঞ্জ

ভারতে চলছে আলোর উৎসব দীপাবলি উদযাপন। বাড়ি সাজানো থেকে নতুন পোশাক, অনেক তারকাই এই সময় জমজমাট পার্টির আয়োজন করেন। কিন্তু বলিউড ও পাঞ্জাবি গানের জনপ্রিয় গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ নাকি এই উৎসবের উদযাপন থেকে দূরে থাকেন। সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। আর সেখানেই উঠে এসেছে তার এক গভীর কষ্টের কথা।

দিলজিৎ দোসাঞ্জের ইনস্টাগ্রাম পেজ ‘টিম দিলজিৎ গ্লোবাল’ থেকে সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে দিলজিৎ জানান, একটা সময় দীপাবলির আলো, আতশবাজি তিনি খুব ভালোবাসতেন কিন্তু এখন তিনি এতে ভয় পান।

ভিডিওতে দিলজিৎ বলেন, ‘আগে আমি প্রচুর আতশবাজি ফাটাতাম। আমার প্রিয় উৎসব ছিল দীপাবলি। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন আমি আমার পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যাই, তখন দীপাবলি উদযাপন বন্ধ করে দিই। আসলে খুব কষ্ট হতো। পরে আর কখনও দীপাবলি উদযাপন করিনি।’



এদিকে ২০২৪ সালের একটি সাক্ষাৎকারে দিলজিৎ তার বাবা-মায়ের সম্পর্ক ভাঙার কথা উল্লেখ করেছিলেন। দিলজিৎ জানান, ছোটবেলায় তার বাবা-মা তাকে লুধিয়ানায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে পাঠিয়েছিলেন। যাতে তিনি পড়াশোনা করতে পারেন, ভালো ভাবে মানুষ হন।

দিলজিৎ বলেন, ‘আমি ১১ বছর বয়সে আমার বাড়ি ছেড়ে মামাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করি। নিজের গ্রাম ছেড়ে শহরে পা রাখি, লুধিয়ানা যাই। বাবা-মাকে মামা বলেছিলেন, ‘ওকে আমার সঙ্গে শহরে পাঠিয়ে দাও।’ আমার বাবা-মাও এককথায় রাজি হয়ে যান। আমার মতামতও নেননি একবার। আমি ফোন করতাম। একটা সময়ে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। আমি আমার পরিবার থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে শুরু করি।’

একটা ছোট্ট ঘরে একা থাকতেন দিলজিৎ। শুধু স্কুল আর বাড়িই ছিল তার গন্তব্য। বাড়িতে টিভি ছিল না। মোবাইল ফোন তো দূরের কথা। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি লুধিয়ানার স্থানীয় অনুষ্ঠানে গান গাইতে শুরু করেন। তার পরে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন দর্শকের মনে।

আরপি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই শহীদরা ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে আত্মত্যাগ করেনি: রিজভী Oct 20, 2025
img
ভোটের মাঠে ১ লাখ সেনা, দেড় লাখ পুলিশ থাকবে: ইসি সচিব Oct 20, 2025
img
রাজধানীতে আ.লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 20, 2025
img
৩৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো আসিফ আফ্রিদির Oct 20, 2025
img
জাতিসংঘকে একযোগে ইরান-রাশিয়া-চীনের বার্তা Oct 20, 2025
img
হেফাজত এখন ‘গরীবের বউ, সবার ভাবী’র মতো হয়ে গেছে: রফিকুল মাদানী Oct 20, 2025
img
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : রাশেদ খান Oct 20, 2025
img
বিমানবন্দরের ঘটনায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি Oct 20, 2025
img

রুকাইয়া জাহান চমক

কোথায় হারালো বাংলার সেই যাত্রাপালা? Oct 20, 2025
img
৭ লাখ বছর পর জ্বলে উঠছে ইরানের তাফতান আগ্নেয়গিরি! Oct 20, 2025
img
তামান্নাকে কটাক্ষ রাখি সাওয়ান্তের Oct 20, 2025
img
শিক্ষাবিদ শায়েস্তা খান আর নেই Oct 20, 2025
img

অপারেশন সিন্দুর

পাকিস্তানকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করার দাবি মোদির Oct 20, 2025
img
জুলাই আন্দোলনে শহীদরাও মুক্তিযোদ্ধা : রিজভী Oct 20, 2025
img
রাজশাহী মহানগরীতে ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪ Oct 20, 2025
img
টাইগারদের বিপক্ষে স্কোয়াডে পরিবর্তন আনল ওয়েস্ট ইন্ডিজ Oct 20, 2025
img
ময়মনসিংহে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল যুবকের, হাসপাতালে ভর্তি আরও ৭০ Oct 20, 2025
img
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘মাদকনেতা’ বললেন ট্রাম্প Oct 20, 2025
img
কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউই এড়াতে পারে না : ইএবি Oct 20, 2025
img
৩ দফা দাবিতে শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Oct 20, 2025