তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ম্যাচ টাই করেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা ১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সুপার ওভারে ১ রানে হেরেছে। এমন হারের পর ক্রিকেটারদের পাশাপাশি টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টও সমালোচনার মুখে। ৫ বলে ৬ রান করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আলোচনা চলছে সৌম্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও। ম্যাচ শেষে তিনি নিজের দায় স্বীকার করেছেন।
মূল ম্যাচে স্বাগতিকদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছিলেন সৌম্য। এরপর সুপার ওভারেও তাকে দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো বাউন্ডারি তো দূর, ৫ বলে ৬ রানের সমীকরণ মেলাতেও ব্যর্থ। পরে সৌম্য জানান, ‘এটা বলতে পারেন আমি ব্যর্থ। বাঁ-হাতি স্পিনার ছিল। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, আমি একটা বাউন্ডারি এখান থেকে আদায় করতে পারব। কিন্তু এটাও ঠিক যে উইকেটও এমন ছিল না যে ছয় বা বাউন্ডারি মারা সহজ। বলটাও অনেক পুরাতন হয়ে গেছে, ৫০ ওভারের পরের বল (সেভাবে) যাচ্ছিল না।’
স্পিন উইকেটে লক্ষ্য বেশি বড় না হলেও কাজটা সহজ ছিল না বলেও উল্লেখ করেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার, ‘মূলত বড় শট করতে গেলে উইকেটের একটা সাহায্য লাগে। বলটা একটু ধীরে আসছিল এবং টার্নও ছিল অনেক বেশি। পরবর্তীতে যদি কখনও এরকম উইকেট থাকে, অবশ্যই সেভাবে অনুশীলন করতে হবে– এই উইকেটে ছয় মারতে হবে কীভাবে।’
সুপার ওভারে একটি এবং মূল ম্যাচ মিলিয়ে তিনটি ফ্রি হিট পান সৌম্য। তিনি কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি। তা নিয়েও সরল স্বীকারোক্তি সৌম্যের কণ্ঠে, ‘আজকে তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি। আগেও অনেকগুলো ফ্রি হিট আছে, সেভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। অমন কিছু (মানসিক সমস্যা) ছিল না। সুপার ওভারে যে বল খেলেছি, প্রায় সবই ফ্রি হিট ছিল। আমার টার্গেটই ছিল ছয় বা বাউন্ডারি মারার। আমি পারিনি। হয়তো এখানে আমার কোনো ল্যাকিং আছে।’
এমকে/এসএন