মুম্বইয়ের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ‘বাস্টিয়ান’ নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন ভারতীয় লেখক ও সমাজসেবী শোভা দে। তিনি জানিয়েছেন, এই রেস্তোরাঁয় প্রতি রাতে ২ থেকে ৩ কোটি রুপি পর্যন্ত টার্নওভার হয় এবং অতিথিরা একেক রাতে লাখ লাখ রুপি খরচ করেন।
‘মোজো স্টোরি’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক বারখা দত্তের সঙ্গে আলাপে শোভা দে বলেন, এক রাতে ৩ কোটি রুপি আয়- আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। মুম্বাইয়ে এখন যে পরিমাণ টাকা ঘুরছে, তা অবিশ্বাস্য। একটা রেস্তোরাঁ আছে, যার প্রতি রাতের টার্নওভার ২ থেকে ৩ কোটি রুপি। ধীর রাতে ২ কোটি, আর সপ্তাহান্তে তা বেড়ে ৩ কোটি হয়ে যায়। আমি নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ শুনে মনে হয়েছিল অসম্ভব। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বারখা দত্ত জানতে চান, কোন রেস্তোরাঁর কথা বলছেন তিনি। তখন শোভা বলেন, এটা বাস্টিয়ান। নতুন বাস্টিয়ান। ২১,০০০ বর্গফুট জায়গায় তৈরি বিশাল এক রেস্তোরাঁ। ভিতরে ঢুকে মনে হয় যেন অন্য জগতে আছি। পুরো শহরের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দেখা যায়। শোভা দে জানান, রেস্তোরাঁটি এক রাতে প্রায় ১,৪০০ জন অতিথিকে পরিবেশন করে। অনেকে ল্যাম্বরগিনি, অ্যাস্টন মার্টিনের মতো বিলাসবহুল গাড়িতে আসেন। তিনি বলেন, তারা দু’দফা সিটিং করে। প্রতিটি দফায় ৭০০ জন করে। আর নিচে রাস্তার ধারে বিশাল ওয়েটিং লিস্ট থাকে। জায়গাটা দাদার, যেখানে মূলত রক্ষণশীল মহারাষ্ট্রীয় সমাজের প্রভাব। কিন্তু এখন সেখানে বিদেশি গাড়ির সারি। এরা কারা? আমি জানি না।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে শোভা দে বলেন, আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। ৭০০ অতিথির মধ্যে একজনকেও চিনতাম না। তারা সবাই তরুণ, আর টেবিল ভরিয়ে বোতল বোতল দামি টেকিলা অর্ডার করছিল। প্রতিটি টেবিল লাখ লাখ রুপি খরচ করছিল। অথচ তাদের কেউই পরিচিত মুখ নয়।
উল্লেখ্য, ‘বাস্টিয়ান’ ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিত বিন্দ্রার সঙ্গে ২০১৯ সালে অংশীদারিত্বে যুক্ত হন অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। এখন তিনি ভারতের বিভিন্ন শহরে একাধিক রেস্তোরাঁর সহ-মালিক এবং ব্র্যান্ডের ৫০ শতাংশ শেয়ার তার হাতে।
এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানিয়েছেন, আমি এখন ভারতের সবচেয়ে বড় রেস্তোরাঁ উদ্যোক্তাদের একজন। তবে বর্তমানে শিল্পা ও তার স্বামী রাজ কুন্দ্রা একটি প্রতারণা মামলার মুখোমুখি। অভিযোগ আছে, তারা জুহুর এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ কোটি ৪৮ লাখ রুপি প্রতারণা করে নিয়েছেন। বোম্বে হাইকোর্ট সম্প্রতি তাদের বিদেশযাত্রার আবেদন খারিজ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে নতুন রেস্তোরাঁ চালুর পরিকল্পনা করছিলেন। আদালত শর্ত দিয়েছে, তারা আগে ৬০ কোটি রুপি জমা না দিলে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হবে না।
আরপি/টিএ