চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) আগামী আসর। তবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভেন্যু প্রস্তুত করতে টুর্নামেন্টটি স্থগিত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এলসিএল)। এলপিএল না হলেও ওই সময়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে চায় তারা। শ্রীলঙ্কার আমন্ত্রণে মৌখিকভাবে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। বিশস্ত একটি সূত্র দেশের একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে আছে শ্রীলঙ্কাও। বিশ্বকাপের আগে যাতে ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিতে পারেন সেজন্য জুলাই-আগষ্ট থেকে সরিয়ে নেয়া হয় এলপিএল। ২৭ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর। তবে আইসিসির শর্ত পূরণে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি টুর্নামেন্টটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কার করছে এসএলসি। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলায় আপাতত সেই ভেন্যুর সংস্কার কাজ স্থগিত আছে। তবে টুর্নামেন্ট শেষে আবারও কাজ শুরু হবে। মূলত ভেন্যুর মান বাড়াতে স্টেডিয়ামগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, সম্প্রচারের সক্ষমতা বাড়ানো, মিডিয়া সেন্টারের আসন বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছে তারা।
এমন অবস্থায় এলপিএল স্থগিত করায় কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ক্রিকেটারদের যাতে প্রস্তুতির ঘাটতি না থাকে এজন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের সিরিজ না থাকায় সিরিজটি খেলতে রাজি হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছিল এসএলসি। কয়েকদিনের আলোচনা শেষে শ্রীলঙ্কার আমন্ত্রণে মৌখিকভাবে রাজি হয়েছে বিসিবি। যার ফলে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফর করবেন লিটন দাসরা। বর্তমানে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ক্রিকেট শেষে তাদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিও সিরিজ খেলা হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেশে ফিরতেই বাংলাদেশ সফরে আসবে আয়ারল্যান্ড। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শেষ হবে সিরিজটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসর মাঠে গড়াতে পারে ডিসেম্বরের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ সপ্তাহে। যার ফলে প্রায় ১৪-১৫ দিন বিশ্রামে থাকার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। বিপিএলের আগে কয়েকদিন ফাঁকা থাকায় সেটা কাজে লাগাতেই সিরিজটি খেলতে রাজি হয়েছে বিসিবি।
২২ অক্টোবর দেশে ফিরছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিসিবি সভাপতি দেশে ফেরার পর বোর্ড সভায় সিরিজটি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা। তবে বিসিবির সূত্রটি দেশের একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, মৌখিকভাবে শ্রীলঙ্কাকে কথা দিয়েছে বিসিবি। বুলবুল দেশে ফেরার পর শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা সারবে তারা।
এসএস/টিএ