গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধ করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন-মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে গত ১৫ অক্টোবর টাইম ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারে গাজা যুদ্ধ বন্ধে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন বলে জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়া থেকে তিনিই থামিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ওকে (নেতানিয়াহু) থামিয়েছি, কারণ এ যুদ্ধ বছর পর বছর ধরে চলতে পারত। আমি বিবিকে (নেতানিয়াহু) বলেছিলাম, ‘বিবি, তুমি পুরো বিশ্বের সঙ্গে লড়তে পারবে না। তুমি আলাদা লড়াই করতে পারো, কিন্তু এখন বিশ্ব তোমার বিপক্ষে। আর ইসরাইল বিশ্বের তুলনায় খুবই ছোট দেশ।’
তিনি আরও বলেন, কাতারে হামাস প্রতিনিধিদলের ওপর ইসরাইলের হামলা ছিল ‘একটি কৌশলগত ভুল’। এই ঘটনাই ইসরাইলের ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
‘আমি কাতারের আমিরকেও বলেছিলাম, এই ঘটনাই আসলে আমাদের সবাইকে একত্র করেছে, কারণ এটি এতটাই অযৌক্তিক ছিল যে সবাই বাধ্য হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে,’ বলেন ট্রাম্প।
গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নে ট্রাম্প মাহমুদ আব্বাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে ইঙ্গিত দেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফিলিস্তিনি নেতা হিসেবে দেখেন না। পাশাপাশি আব্বাসকে গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্ব দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারগুতি নিয়েও কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার মুক্তির বিষয়ে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন কি না, সে বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
সাক্ষাৎকারে সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। বছরের শেষ নাগাদ সৌদি আরব আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে বলে আশা করেন তিনি।
ইউটি/টিএ