রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যারা উপদেষ্টা আছেন তাদের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর এক ধরনের অভিযোগ, সীমাবদ্ধতা প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন তারা সরাসরি বলে এসেছেন কয়েকজন উপদেষ্টাকে সরাতে হবে। এনসিপির প্রধান নেতা নাহিদ ইসলামও কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে বলেছিলেন উপদেষ্টাদের কেউ কেউ নানা ধরনের ষড়যন্ত্র-দুর্নীতিতে লিপ্ত। তারা সেফ এক্সিট খুঁজছেন।
সেফ এক্সিট পাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক ধরনের লিয়াজোঁ করছেন।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর এক ধরনের অবজারভেশন আছে। তারা চাচ্ছেন এদেরকে সরাতে হবে। তারা চাচ্ছেন উপদেষ্টা মণ্ডলীটা আরো যেন ফেয়ার হয়, আরো যেন নিরপেক্ষ হয়। কার কার ব্যাপারে তাদের আপত্তি, সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম বলেনি।
মাসুদ বলেন, এই মুহূর্তে দুইজন উপদেষ্টার নাম সবচেয়ে বেশি আসছে। দুইজন ছাত্র উপদেষ্টা- মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মাহফুজ আলম সর্বশেষ যে অপকর্মটা করেছেন সেটা হলো, দুইটা টেলিভিশনকে লাইসেন্স দিয়েছেন। আমাদের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন হয়েছিল। এটা যে প্রক্রিয়ায় দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তাব দিয়েছিল, সে প্রস্তাবে না করে উনি আগের পদ্ধতি অর্থাৎ স্বৈরাচার সরকার যে পদ্ধতিতে দিত সে পদ্ধতিতে দিয়েছেন।
মাসুদ আরো বলেন, এরা কি আগামীতে নির্বাচনে অংশ নেবে? যদি তারা নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে এই সরকারটাকে নিরপেক্ষ সরকার বলবেন কিভাবে? জানা গেছে মাহফুজ আলম নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী না। কিন্তু আসিফ মাহমুদ যে আগ্রহী এটা সবাই জানে।
কুমিল্লায় ওনার যে এলাকা সে এলাকায় উনি বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। বাড়তি উন্নয়ন করতেছেন। ওনার বাবা ওনার হয়ে প্রচার করতেছেন। এটা সবাই জানে, এটা আলোচনা হচ্ছে। মাঝখানে বলেছিল যে তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করবেন। তাতে কি কোন লাভ হলো? তফসিল ঘোষণার আগে আগে সমস্ত আখের গুছিয়ে নিল।
কেএন/এসএন