হামজা-শমিতদের পর এবার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহী ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ফুটবলার ট্রেভর ইসলাম। শুরু হয়েছে তার পাসপোর্ট তৈরির কাজও। তবে, এ বছরই তার লাল সবুজের জার্সিতে খেলা হবে না বলে জানিয়েছেন তার এজেন্ট আবিদ আনোয়ার। এছাড়া আরেক ফরোয়ার্ড জায়ান হাকিমেরও পাসপোর্ট তৈরির কাজও চলছে বলে জানান এ এজেন্ট।
             
        
হামজা চৌধুরী, যিনি বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে সবার ভাবনা। প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলারের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামার গল্প যেন নতুন এক অনুপ্রেরণা। দিন দিন আগ্রহ বাড়াচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার মাঝে। এবার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা আমেরিকার ফার্স্ট টায়ার ইউনিভার্সিটি লিগের ক্লাব স্ট্যানফোর্ড মেন'স সকার ক্লাবের তারকা ফরোয়ার্ড ট্রেভর ইসলাম।
 
দুর্দান্ত ফিনিশিং ও পজিশন ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি। লাল-সবুজের জেনুইন ‘নাম্বার নাইনের’ অভাবটা পূরণ হতে পারে তার মাধ্যমে। ট্রেভরের বাংলাদেশ পাসপোর্ট তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে এজেন্ট আবিদ আনোয়ার বলেন, ‘ট্রেভর ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছে। ওর বাংলাদেশি পাসপোর্ট নাই। ওর বাবা-দাদার বাংলাদেশি পাসপোর্ট আছে। যেটাও আবার অনেক বছর আগের হাতে লেখা। যেটার এখন বৈধতা নাই। ওদের পাসপোর্টগুলো করতে হবে। তারপর সে তার পাসপোর্টের কাজগুলো করতে পারবে।’
 
তবে এ বছরই মাঠে দেখা যাবে না ট্রেভরকে। আবিদ বলেন, ‘তার কিছু পরীক্ষা থাকাতে এ বছরের উইন্ডোতে তাকে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বাফুফে আর হেড কোচ চাইলে আগামী বছরের উইন্ডোতে তাকে খেলানো সম্ভব।’ অন্যদিকে, আরেক প্রবাসী ফরোয়ার্ড জায়ান হাকিমের বিষয়েও চলছে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। তবে, কিছু জটিলতা পেরিয়ে শিগগিরই তাকে দেখা যেতে পারে জাতীয় দলের জার্সিতে।
 
এজেন্ট আবিদ বলেন, ‘জায়ান হাকিমকে নিয়েও কাজ করতেছিলাম। এখনো করতেছি। কিছু কিছু বিষয় থাকে যেটা বলা সমীচীন না। যেগুলো বললে খেলোয়াড়দের গোপনীয়তা নষ্ট হয়। একটা কাজ মন্থর যাচ্ছে, তার মানে এই না যে আমরা ইচ্ছে করে ধীরে করছি বা এখানে অন্য কোনো প্রভাব আছে। কিউবারটা আমরা সফলতার সঙ্গে শেষ করতে পারছি। ইনশাআল্লাহ আমরা জায়ান হাকিমেরটাও শেষ করতে পারব।’
 
বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা চৌধুরী আর শমিত সোমের পর এবার ট্রেভর ও জায়ান এই দুই নাম নতুন আশার প্রতীক। তারা যোগ দিলে সমর্থকদের চিরচেনা সেই গোল সংকট কাটবে এমনটাই প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমীদের।
এসএস/টিএ