ফরিদপুরে ছাত্রদল নেতা সোহেল মুন্সির নেতৃত্বে এক বিধবার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ এলাকায় মৃত চান মিয়ার বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় মৃত চান মিয়ার বিধবা স্ত্রী ভারতে চিকিৎসার জন্য জমানো আড়াই লাখ টাকা, তার মেয়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন লুট করা হয়। একই সঙ্গে বাড়িতে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে লুট কারীরা।
হামলার নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর সদর আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের অনুসারী ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল মুন্সী। সোহেল মুন্সি দেশীয় অস্ত্র ও শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা।
বিধবা রাশিদা বেগম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের পর আমি বাড়িতে ছিলাম না, কানাইপুর ছিলাম। তখন আমি খবর পাই আমার বাড়ির সামনে জামেলা হচ্ছে। আমি খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি স্থানীয় মেম্বার কামাল কয়েকজনকে নিয়ে সালিশ করছে আমার বাড়ির সামনে। এসময় মেম্বার সালিশ করে দুপক্ষকে মিলমিশ করিয়ে দিলে আমি বাড়ি চলে যাই। এর পরপর বিকেল সাড়ে ৪-৫টার দিকে সোহেল মুন্সির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।’
রাশিদার ছেলে আহাদ মিয়া বলেন, ‘কানাইপুর বাজারে রামখন্ড গ্রামের রফিকের সঙ্গে আমাদের গ্রামের সেলিমের চলাচলের সময় সাইড দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। সে ঘটনায় রফিককে আমাদের বাড়ির সামনে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে রফিক সোহেল মুন্সিকে খবর দিয়ে আনে। তখন স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তার কিছু পরেই সোহেল মুন্সি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। স্থানীয় মেম্বার কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘বিধবা রাশিদা বেগমের বাড়িতে হামলার ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে সোহেল মুন্সি। রাশিদার সঙ্গে রফিক ও সেলিমের ঘটনার কোনো ভাবেই সম্পৃক্ততা নেই। বিধবার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি সোহেল মুন্সির পরিকল্পিত ঘটনা।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি অপারেশন আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ‘বিবদমান উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’