ক্রিকেটে দর্শকদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ক্রিকেট নিয়ে গেল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অনেক বাড়লেও নব্বইয়ের দশকের দিকে তাকালে দেখা যাবে ভিন্ন চিত্র। ফুটবল তখন এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে ঘরোয়া ম্যাচে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দাবি করেন, ফুটবলে নব্বই দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
হামজা, ফাহমিদুল, শমিত সোমের আগমনের পর বদলে গেছে দেশের ফুটবলের চিত্র। বিশেষ করে জাতীয় দলের ম্যাচগুলোতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো। টিকিটের জন্য থাকে হাহাকার। এ যেন নব্বই দশকের চিত্র ফিরে এসেছে দেশের ফুটবলে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রীতি ম্যাচ খেলেন। সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ। সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে ফুটবল যে পর্যায়ে ছিল, সেখান থেকে এক বছরে খুব বেশি যাচাই করার সুযোগ নেই। কারণ, এক বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম আর এক বছর পরে কোথায় আছি, সেটাই যদি আপনারা একটু পর্যালোচনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। আসলে বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা, সেটা আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারিভর্তি মানুষ থাকেন। বাইরেও থাকেন, ঢুকতে পারেন না এমন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’
তবে উপদেষ্টা মনে করিয়ে দিলেন, অল্প সময়েই সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। সাফল্য পেতে হলে আরও সময় দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই খেলা অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে উইং থেকে ক্রস এটা আমরা দেখিনি। আমাদের খেলার উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাফল্য আসতে সময় লাগবে। পৃথিবীতে যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, ১০-১৫-২০ বছর ধরে তাদের অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। ফুটবলারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
এবি/টিকে