ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া জরুরি: জিল্লুর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ একটা জটিল জাতীয় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক চক্রের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনটা হওয়া জরুরি। নির্বাচনটা ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে কবে নির্বাচন হবে? কি রকম নির্বাচন হবে? কিভাবে নির্বাচন হবে? সেগুলো নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন ওঠে। সংশয়ের অবকাশ তৈরি।

আমি ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দেখি না। যদিও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একমাত্র আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে তারা এই নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারও বলছে যে কোনো পরিস্থিতি হোক না কেন নির্বাচনটা ফেব্রুয়ারিতে হবে। নির্বাচনটা হয়ে গেলে ভালো। সে বিষয়ে আমার কোন ভিন্নমত নেই। আমিও খুশি হব যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়ে যায়। কিন্তু আমার একটা সংশয় প্রশ্ন থেকেই যাবে।

কেমন নির্বাচন আমরা চাই? কেমন নির্বাচন হবে? নির্বাচনটা যদি একটা আইডিয়াল ইলেকশন হয়, অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়, বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ খুশি হবে। জিল্লুর বলেন, নির্বাচনটা যদি একটা পার্ট সিলেকশন একটা সংঘাতময় নির্বাচন হয় কেউই সেটা একসেপ্ট করবেন না। সবচাইতে বড় কথা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় যাবেন তাদের জন্য সেটা স্বস্তিকর এবং সুখকর হবে না। তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার পরে এই চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে।

জিল্লুর আরো বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে আরপিও আদেশ সেটা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। সেখানে অনেকগুলো বিষয় আছে। অনেকগুলো বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতা আছে। যারাই ক্ষমতায় যান ক্যাবিনেটটা করবেন, যেন ইফিসিয়েন্ট হয়। কার রাজনীতিতে কতখানি ত্যাগ আছে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার চাইতে বড় কথা হচ্ছে ইফিসিয়েন্সিটা মোর ইম্পর্টেন্ট।

এসএস/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
না জেনে আ. লীগকে বিশ্বকবি-বিদ্রোহী কবি বানিয়েছিলাম : রনি Oct 26, 2025
img
রাস্তা নির্মাণে কোনো কারচুপি সহ্য করা হবে না : মেয়র শাহাদাত Oct 26, 2025
নির্বাচনের মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি, তত্ত্বাবধানে তারেক রহমান Oct 26, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের প্রাণহানি, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৩ Oct 26, 2025
img
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি Oct 26, 2025
img
বিএনপি-জামায়াত পারবে না, এনসিপিকে লাগবে: সারজিস Oct 26, 2025
এশিয়া সফরের শুরুতেই ট্রাম্পের নাচে চমক কুয়ালালামপুরে Oct 26, 2025
img
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার Oct 26, 2025
img
মেট্রোরেল দুর্ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন Oct 26, 2025
img
৯ পুলিশ সুপারসহ ১১ কর্মকর্তাকে বদলি Oct 26, 2025
img
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে আটক ১৫৬১ Oct 26, 2025
img
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে ফুটবল-ক্রিকেট খেলা Oct 26, 2025
দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, শুরু হয়েছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি! Oct 26, 2025
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্তির জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে যা বললেন মুজিবুর রহমান Oct 26, 2025
img
বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ অব্যাহতি ১৬৩ জনকে Oct 26, 2025
img
স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি ‘উৎসাহজনক’ তবুও গতি বাড়ানো প্রয়োজন : উপদেষ্টা Oct 26, 2025
img
চানখারপুলে ৬ হত্যা : ২০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ Oct 26, 2025
img
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু হবে : ভূমি সচিব Oct 26, 2025
img
কেকেআরের নতুন কোচ হচ্ছেন অভিষেক নায়ার Oct 26, 2025
img
জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ: আখতার হোসেন Oct 26, 2025