সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি দাবি করেছেন, ‘এনসিপির গঠন এবং এনসিপি গঠনের আগে সমন্বয়কদের নামে যা কিছু বাংলাদেশে হয়েছে, তার পেছনে প্রমোটার হিসেবে জামায়াত ছিল। জামায়াত তাদের মিছিল-মিটিং থেকে শুরু করে সমস্ত কাজকর্ম করে দিয়েছে। এরপর যখন এই কোটাবিরোধী আন্দোলনে এনসিপির বর্তমান যারা নেতা, তাদের অভিষেক হলো, তখন শেখ হাসিনা বা তার লোকজন সবাই বলেছেন এটা একটা জামায়াতি চাল।’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিও-বার্তায় রনি বলেন, আমরা দেখলাম জামায়াত তিন থেকে চারটি টিম করেছিল। এ টিম, বি টিম, সি টিম। জামায়াতের মূল একটা দল এ টিম, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ছিল তারা বি টিম, এনসিপির মধ্যে যারা ছিল অর্থাৎ রাজপথে কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছিল তারা সি টিম। এরপর বিএনপির মধ্যে যারা ছিল তারা ডি টিম। এভাবে চার-পাঁচটি টিম তারা সৃষ্টি করে যে রাজনীতিগুলো করেছিল তা গত ১৪ মাসে ওপেন হয়ে গেছে।
‘তো উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে তারা প্রথমে খুব খুশি হয়েছিল যে দেখো আমরা কত কৌশল করেছি। কিন্তু কৌশল করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আগানো যায়। এরপর আর আগানো যায় না। আগানোর জন্য একটা ইফেক্টিভ কৌশল লাগে, পরিকল্পনা লাগে, দক্ষতা লাগে এবং বিশাল জনগোষ্ঠী লাগে।
তো যেখানে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মতো বড় দলগুলো রয়েছে, যাদের সব আছে; শুধু জামায়াতি কৌশল ছাড়া।’ রনি বলেন, ‘জামায়াতের সেই কৌশল রপ্ত করতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ এখন সেম কাজগুলো করার চেষ্টা করছে। এই কাজ করতে গিয়ে জামায়াত ইতিমধ্যে গত ১৪ মাসে যেভাবে হাঁপিয়ে উঠেছে, তার প্রমাণ হলো একটার পর একটা সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর সেটা হলো এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক। এখন প্রশ্ন হলো যে জামায়াত কি এনসিপিকে অ্যাভয়েড করল নাকি জামায়াত এনসিপিকে দূরে ঠেলে দিল? এটা নিয়ে আলোচনা পরে করব।
কারণ, এই যে এনসিপি এবং জামায়াতের মধ্যে যে বিচ্ছেদ, এটার মধ্যে আমাদের আগামী রাজনীতির অনেকগুলো সমীকরণ নির্ভর করছে।’
এসএস/টিকে