বাংলাদেশ শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে বড় ধরনের সংশোধন আনছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে জার্মান সংসদ সদস্য বোরিস মিয়াতোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রম অধিকারের সুরক্ষা, পেশাগত স্বাস্থ্য, শোভন কর্মপরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মান বাস্তবায়নে এ সংশোধন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি জানান, শ্রম আইন সংশোধনে আইএলওর রোডম্যাপ, যুক্তরাষ্ট্রের ১১ দফা শ্রম অধিকার শর্ত, ইউরোপীয় অ্যাকশন প্ল্যান ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এতে শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতা, যৌথ দর-কষাকষির অধিকার, নারী শ্রমিকের সুরক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে হয়রানি প্রতিরোধের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আইএলওর ১০টি মৌলিক কনভেনশন অনুস্বাক্ষরকারী দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ। সম্প্রতি পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (C155, C187) এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা প্রতিরোধ (C190) কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের মাধ্যমে শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।’
তিনি শিশুশ্রম নির্মূলে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘শিশুশ্রম বন্ধে কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২ বাস্তবায়নে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা চলছে।'
জার্মান সাংসদ বোরিস মিয়াতোভিচ বাংলাদেশের শ্রম সংস্কার ও শ্রমিক সুরক্ষা উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এ খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। সাক্ষাৎকালে শ্রম ও নৌপরিবহন খাতে বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বাংলাদেশের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে (২০২৬-২৭) জার্মান সমর্থন নিয়েও আলোচনা করা হয়।
টিজে/টিএ