বিচারকের প্রশ্নে মাথা নাড়িয়ে আতিকুল জানালেন, ‘কোনো বক্তব্য নেই’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে কড়া পাহারায় হাজতখানা থেকে বের করা হয়। ধীর পদক্ষেপে পুলিশ ব্যারিকেডের সুরক্ষায় তিনি পৌঁছান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ষষ্ঠ তলায় বিচারক মাহবুব আলমের এজলাসে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর উত্তরা পশ্চিম থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলায় তিনি ৮ নম্বর আসামি।

বিচারক জানতে চান, আতিকুল ইসলাম বা তার আইনজীবী কিছু বলতে চান কি না? পাশে দাঁড়ানো আইনজীবী ও সাবেক মেয়র হালকা মাথা নাড়িয়ে জানান, তাদের কোনো বক্তব্য নেই।

কার্যক্রম শেষে পুলিশ এজলাস থেকে বের হয়ে নিকটবর্তী লিফট দিয়ে নিচে নামাতে চাইলে এজলাসের বাইরে দাঁড়ানো কয়েকজন দাবি করেন, তাকে যেন হেঁটে নামানো হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মাঝের সিঁড়ির লিফট ব্যবহার করে তাকে আবার হাজতখানায় নিয়ে যান।

পুলিশের আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি আতিকুল ইসলাম বনানী থানার মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে আটক রয়েছেন। মামলার বাদী রেদোয়ান হোসেন অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার আমির কমপ্লেক্স এলাকার সড়কে একদফা আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনতার ওপর এজাহারভুক্ত আসামিদের নির্দেশে অস্ত্রধারীরা অতর্কিতে গুলি চালান। এসময় বাদীর বাবা তাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

তদন্তে দেখা যায়, আতিকুল ইসলাম মামলার পলাতক আসামি ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাকে গ্রেফতার দেখানো প্রয়োজন হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

পরে আদালতের নিচে আতিকুল ইসলামের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৭ মামলায় আটক হয়ে আতিকুল ইসলাম কারাগারে। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন। পরে মেয়র হন। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ন্যায়সংগত দাবি মানতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির Oct 27, 2025
img
দুই দশক পর মুম্বাইতে ফিরছেন ‘গ্লোবাল স্টার’ এনরিক Oct 27, 2025
img
ভাইস প্রেসিডেন্ট নয়, ৩য় বার প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার ইঙ্গিত ট্রাম্পের Oct 27, 2025
img
কিছু ব্যক্তির জন্য সরকারের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে: আমির খসরু Oct 27, 2025
img
‘বিগ বস’ মঞ্চে সালমানের মন্তব্যে নতুন বিতর্ক Oct 27, 2025
img
ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা সচিন চাঁদওয়াদের মরদেহ উদ্ধার Oct 27, 2025
img
সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে অর্থ আত্মসাৎ, আইওএফের ১২ জনের জামিন Oct 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারকে যে কারণে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে বলছে বিএনপি Oct 27, 2025
img
'ডিপ ফেকের' শিকার চিরঞ্জীবী, আইনি পদক্ষেপ নিলেন অভিনেতা Oct 27, 2025
img
১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ ৬৪, বিপাকে বাংলাদেশ Oct 27, 2025
img
নাফিসার অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং মামলা Oct 27, 2025
img
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সাথে বিএনপির বৈঠক Oct 27, 2025
img
চালু হচ্ছে পাকিস্তান-ইরান-তুরস্ক ট্রেন সেবা Oct 27, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের কমিশন ঘোষণা Oct 27, 2025
img
সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটিতে আটক থাকা ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর Oct 27, 2025
img
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে : সারজিস Oct 27, 2025
img
ক্যামেরা বন্ধের ঘটনায় তর্কে জড়ালেন সারজিস Oct 27, 2025
img
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হারল বাংলাদেশ Oct 27, 2025
img
রাজধানী থেকে আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 27, 2025
img
রাবিতে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলো শিক্ষার্থীরা, শাটডাউন বহাল Oct 27, 2025