সম্প্রতি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন একগুচ্ছ ছবি-হলুদের মোলায়েম আলোয় স্নিগ্ধ, শান্ত স্বস্তিকা মুখার্জি। পরনে ঢিলেঢালা ফারসি সালোয়ার, মুখে নরম হাসি। এই রঙটিই ছিল তার প্রয়াত মা গোপা মুখোপাধ্যায়ের সবচেয়ে প্রিয়। তাই মায়ের স্মৃতির রঙেই নিজেকে সাজিয়ে তুললেন অভিনেত্রী। ফ্যাশন ও আবেগের এই মেলবন্ধনে যেন ফুটে উঠেছে এক নিঃশব্দ ভালোবাসা, যেখানে ঐতিহ্যের সৌন্দর্য মিশেছে মায়ের স্মৃতির কোমলতায়।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মায়ের সবচেয়ে প্রিয় রং হলো হলুদ। মায়ের সবচেয়ে প্রিয় রং ছিল হলুদ। এই বর্তমান অতীতে ঘুরতে ঘুরতেই সময় কেটে যাবে। মা চলে যেতে খুব একটা এই রং গায়ে দিইনা। বা দিলেও সেটা মা কে মনে রেখেই। কাকলি দি এত সুন্দর একটা ফারসি সালোয়ার স্যুট বানিয়েছে যে গায়ে না দিয়ে পারলাম না। যারা হলুদ ভালোবাসে আমার মায়ের মতন, এটা তাদের জন্য।’
এই ফারসি সালোয়ারটি তৈরি করেছেন পরিচিত ফ্যাশন ডিজাইনার ও দক্ষ এমব্রয়ডারি শিল্পী কাকলি ভট্টাচার্য। কাপড়ে সূক্ষ্ম নকশা, গলার ও হাতার কারুকাজে ফুটে উঠেছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সুন্দর মেলবন্ধন।
ফ্যাশন দুনিয়ায় ২০২৫ সালেও ঢিলেঢালা পোশাকের চল বেশ প্রবল। এর মধ্যে ফারসি সালোয়ার এখনকার অন্যতম ট্রেন্ড। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, মোগল আমলেই এই পোশাকের সূচনা।
সে সময় রাজবংশীয় ও অভিজাত নারীরা পরতেন লম্বা, ঢেউ খেলানো এই পোশাক, যা একাধারে আরামদায়ক ও আভিজাত্যের প্রতীক ছিল। ‘ফারসি’ শব্দটি এসেছে ‘ফার্স’ থেকে, যার অর্থ ‘মেঝে’। পোশাকটি মাটিতে ছুঁয়ে থাকে বলেই এমন নামকরণ।
আজকের দিনে আবারও সেই ঐতিহ্য ফিরে এসেছে নতুন রূপে। ফ্যাশনপ্রেমীরা এখন নিজের স্টাইলে মোগল আমলের ঐতিহ্য মিশিয়ে নিচ্ছেন আধুনিক ছোঁয়ায়। আর সেই ধারাতেই স্বস্তিকার এই হলুদ ফারসি সালোয়ার যেন এক নিখুঁত উদাহরণ-ঐতিহ্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত আবেগের মিলনে গড়ে তোলা এক স্নিগ্ধ ফ্যাশন স্টেটমেন্ট।
টিজে/টিকে