আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে একক মুদ্রা চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, ইকোনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (ইসিও) সদস্য দেশগুলো যৌথভাবে একটি অভিন্ন আঞ্চলিক মুদ্রা চালু করলে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে নতুন গতি দেবে।
মঙ্গলবার তেহরানে তাজিকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসিও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন গভীর। এই সম্পর্ককে অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপ দিতে হলে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূর করা প্রয়োজন।
ইসিও গঠিত হয় ১৯৮৫ সালে ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কের উদ্যোগে। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ১০। এর মধ্যে রয়েছে মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশ তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। এছাড়া আজারবাইজান ও আফগানিস্তানও সংগঠনের সদস্য। বর্তমানে ইসিও দেশগুলোর সম্মিলিত জনসংখ্যা ৫৫০ মিলিয়নেরও বেশি।
তবে ইরানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে ইরানি রিয়ালের মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি লাগাতার বেড়ে চলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আঞ্চলিক একক মুদ্রার প্রস্তাব ইরানের জন্য যেমন নতুন কূটনৈতিক বার্তা, তেমনি ইসিও অঞ্চলে বাণিজ্য সম্প্রসারণেরও সম্ভাবনা তৈরি করছে।
এসএস/টিএ