জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট-এর উল্লেখ থাকার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সেটা উপেক্ষা করে জনগণ ও দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, দেশে বিভক্তি ততই বাড়বে। জনগণের কাছে নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রধান উপদেষ্টা। এর ব্যত্যয় ঘটলে দায়-দায়িত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরেই আমরা নির্বাচনের কথা বলেছিলাম, তখন আমাদেরকে বলা হয়েছিল- আমরা ক্ষমতা চাই, সেজন্য অতি দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছি। অথচ আজকে প্রমাণিত হচ্ছে, এই নির্বাচনটা যত দেরি হচ্ছে তত ফ্যাসিবাদী শক্তি শক্তিশালী হচ্ছে। যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল দেখতে চায়।
সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বিএনপি কখনো সংস্কার বিরোধী হতে পারে না। একটা প্রচারণা চালানো হলো বিএনপি সংস্কার বিরোধী এটা দারুণভাবে চালানো হয়েছে। একটা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়।
এ সময় একমত ও দ্বিমত পোষণ- সবকিছু নিয়ে ভোট আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।
একই অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যতক্ষণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বৈধতা না দেবেন, ততক্ষণ কোনো সংস্কারই বৈধ হবে না।
কেএন/টিএ