চুক্তি হয়ে গেছে চার মাস আগেই। অনুশীলনও চলছে নিয়মিত। কিন্তু পল পগবার সবচেয়ে বড় অপেক্ষার অবসান হয়নি এখনও। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফুটবলের মূল স্রোতে ফিরলেও এখনও ম্যাচে ফেরা হয়নি বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডারের। মোনাকোর কোচ সেবাস্তিয়েন পোকোনিওলি অবশ্য তাকে ভরসা জুগিয়ে বলছেন, সময় এই হলো বলে।
দুই বছরের চুক্তিতে গত জুনের শেষ দিকে এএস মোনাকোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন পগবা। চুক্তি স্বাক্ষরের আয়োজনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তার কাছে এটা যে নতুন এক শুরু!
ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক বিতর্কে জড়ানো পগবার সবচেয়ে বড় ধাক্কা হয়ে আসে নিষেধাজ্ঞা। ডোপিংয়ের দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল চার বছরের জন্য। পরে আপিলে তা কমিয়ে আনা হয় দেড় বছরে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্লাব খোঁজার পালা শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে নতুন চুক্তির পথ ধরে এখন তিনি ক্ষণ গুনছেন মাঠে নামার।
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে তাকে সবশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তার ফেরা বা তাকে ফিরতে দেখার অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে শিগগিরই, বললেন মোনাকোর কোচ পোকোনিওলি।
“এই মুহূর্তে বলতে পারি, সবকিছু ভালোভাবে এগোচ্ছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে স্কোয়াডে দেখা যাবে। সে যখন ফিরবে, ফুটবলার হিসেবে তাকে মূল্যায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের।”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুব দল হয়ে উঠে আসা পগবা ক্লাব ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন সেই ক্লাবে ও পরে ইউভেন্তুসে। পরে তার ক্যারিয়ার প্রত্যাশিত পথে থাকেনি। এখন ফেরার পর শুরুতেই সেই সেরা সময়ের পগবাকে পাওয়ার আশা করছেন না পোকোনিওলি। তবে ৩২ বছর বয়সী ফুটবলারকে সেই চেহারায় ফেরাতে কাজ করে যাবেন মোনাকো কোচ।
“ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেই পল পগবা বা ইউভেন্তুসে প্রথম দফায় তিনি যেমন খেলেছেন, ওসব এখন অনেক আগের কথা। বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সব ফুটবলারকে নানা রূপে দেখা যায়। তার বয়স ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়েই এখন তাকে বিচার করতে হবে।”
“আমি যা দেখছি, এখনও তার সেই টেকনিক আছে, যেভাবে আমরা তাকে দেখেছি আগে। ম্যাচ খেলতে নামলে সেই ছন্দ থেকে আরও অনেক কিছুর উত্তর মিলবে। এএস মোনাকোর হয়ে সে নিজের সেরা চেহারায় ফিরতে পারে। যেটাই হোক, আমার দায়িত্ব তাকে সেই পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করা ও নির্দেশনা দেওয়া।”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইউভেন্তুসের হয়ে ১০টি ট্রফিজয়ী পগবা ফ্রান্সের হয়ে জিতেছেন ২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও পরে ২০১৮ বিশ্বকাপ, ২০২০-২১ নেশন্স লিগ। ২০২২ বিশ্বকাপের পর দেশের জার্সিতে তাকে আর দেখা যায়নি।
এমআর