নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, শাপলা আর শাপলা কলি প্রতীকের মধ্যে পার্থক্য আছে। নানা সমালোচনার মুখে প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে শাপলা কলি প্রতীকটি বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজন মনে করলে আবারও সংশোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
শাপলা প্রতীকটি বিধিমালায় না থাকায় কোনো দলকে দেওয়া যাবে না-তাহলে কোন বিবেচনায় শাপলা কলি প্রতীকটি বিধিমালায় যোগ করা হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রতীকের তালিকা নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল। তাই আগের তালিকা থেকে ১৬টি প্রতীক বাদ দিয়ে ১১৯টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি মনে করেছে শাপলা কলি রাখা যেতে পারে। এটা কারো দাবির প্রেক্ষিতে করার বিষয় নয়। আপনারা জানেন, একটি দল শাপলা চেয়েছে। এখন শাপলা প্রতীক আর শাপলা কলির মধ্যে পার্থক্য আছে। কমিশন মনে করেছে এটা করা যায়, তাই করা হয়েছে। যেহেতু কিছু বিরূপ মন্তব্য এসেছে, তাই কিছু বাদ দিয়ে কিছু যোগ করা হয়েছে।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, কে চেয়েছে বা কে চায়নি সেটা বিষয় নয়; শাপলা কলি প্রতীকটি যোগ করার সিদ্ধান্ত কমিশনের। ভবিষ্যতে যদি কমিশন প্রয়োজন মনে করে, তাহলে আবারও পরিবর্তন করতে পারবে।
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে ৫০টি প্রতীক থেকে নিজেদের প্রতীক বাছাই করে জানাতে বলা হয়েছিল ইসির পক্ষ থেকে, যেখানে বেগুন, বালতির মতো প্রতীকগুলো রাখা হয়েছিল। এনসিপি ইসির সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শাপলা প্রতীকটি বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানায়। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা করে, শাপলা এবং শাপলাই হবে তাদের মার্কা এবং শাপলা প্রতীক ছাড়া দলটি নিবন্ধন নেবে না।
ইএ/টিকে