প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকার পর এবার মিতব্যয়ী বোলিংয়ে তিনটি শিকার ধরলেন রশিদ খান। আরেক স্পিনার মুজিব উর রাহমান দারুণ বোলিং করলেন আরও একবার। ছোট লক্ষ্যে অপরাজিত ফিফটিতে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দিলেন ইব্রাহিম জাদরান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ জিতল আফগানিস্তান।
             
        
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের জয় ৭ উইকেটে। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই নিয়ে সাতটি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে সবকটিই জিতল আফগানিস্তান।
হারারেতে শুক্রবার স্বাগতিকদের ১২৫ রানে অলআউট করে মূল কাজটা করে দেন বোলাররা। ইব্রাহিমের ৫১ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসে আফগানিস্তান জিতে যায় দুই ওভার বাকি থাকতেই।
তিন ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান অধিনায়ক রাশিদ। মুজিব চার ওভারে ২৬ রানে নেন ২টি উইকেট। প্রথম ম্যাচে এই অফ স্পিনারের শিকার ছিল ২০ রানে ৪টি।
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ৩২ বলে ৩৭ ছাড়া দলটির আর কেউ উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। তাদের কোনো জুটি স্পর্শ করেনি ত্রিশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। মুজিব পরপর দুই ওভারে ফেরান ডিওন মায়ার্স ও ব্রেন্ডান টেইলরকে। মাঝে ফারিদ আহমাদ বিদায় করেন ব্রায়ান বেনেটকে।
রায়ান বার্ল ১০ রান করতে খেলেন ১৫ বল। আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি টনি মুনিয়োঙ্গা (১২ বলে ১৯)।
দলের স্কোর একশ পার করেন রাজা। সপ্তদশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে রাজা ও মুসেকিওয়াকে ফিরিয়ে দেন রাশিদ। নিজের পরের ওভারে ব্র্যাড ইভান্সকে এলবিডব্লিউ করে তৃতীয় শিকার করেন এই তারকা লেগ স্পিনার।
২১ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তিন বল বাকি থাকতে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
রান তাড়ায় ২ চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ১৬ রান করে ফেরেন রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিনে নেমে ভালো করতে পারেননি সেদিকউল্লাহ আটাল।দলকে টানেন ইব্রাহিম। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ২০ বলে ১৭ রান করেন দারভিশ রাসুলি।
আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের (১৩ বলে ২৫*) সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে বাকিটা সারেন ইব্রাহিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১৯.৩ ওভারে ১২৫ (বেনেট ১৬, মায়ার্স ৬, টেইলর ৩, রাজা ৩৭, বার্ল ১০, মুনিয়োঙ্গা ১৯, মুসেকিওয়া ১৩, ইভান্স ১২, মাপোসা ১, মাসাকাদজা ৫, এনগারাভা ২*; ওমারজাই ২-০-৯-০, মুজিব ৪-০-২৬-২২, ফারিদ ৪-০-৩২-১, রাশিদ ৩-০-৯-৩, আহমাদজাই ৩.৩-০-২৮-২, নাবি ৩-০-২০-১)
আফগানিস্তান: ১৮ ওভারে ১২৯/৩ (গুরবাজ ১৬, ইব্রাহিম ৫৭*, সেদিকউল্লাহ ৮, রাসুলি ১৭, ওমারজাই ২৫*; মাসাকাদজা ৪-০-২০-১, এনগারাভা ৪-০-৩৫-০, ইভান্স ৩-০-২১-২, মাপোসা ২-০-২৫-০, রাজা ৪-০-১৫-০, বার্ল ১-০-৯-০)
ফল: আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে আফগানিস্তান
ম্যান অব দা ম্যাচ: রাশিদ খান
এমআর/টিকে