সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নেতা আহমদ আল-শারা আগামী ১০ই নভেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসতে চলেছেন। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জানিয়েছেন, এটিই হবে কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।

মার্কিন দূত টম ব্যারেক এক্সিওস সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, আল-শারা তাঁর সফরকালে আইএসআইএল (আইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রয়টার্স নিউজ এজেন্সিও একজন সিরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, এই সফর আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই হওয়ার কথা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিদেশি নেতাদের সফরের ঐতিহাসিক তালিকা অনুসারে, এর আগে কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টই ওয়াশিংটন সফর করেননি।

গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আল-শারা বিশ্ব শক্তিগুলোর সাথে সিরিয়ার সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।

গত মে মাসে সৌদি আরবে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের নেতাদের সাথে ট্রাম্পের বৈঠকের ফাঁকে আল-শারাআর সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হয়েছিল, যা ছিল দুই দেশের নেতার মধ্যে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম বৈঠক। আল-শারাআ গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদেও ভাষণ দিয়েছেন।

মার্কিন দূত ব্যারেক বাহরাইনে মানামা ডায়ালগের ফাঁকে সাংবাদিকদের বলেন যে, ওয়াশিংটন সিরিয়াকে ২০১৪ সাল থেকে আইএসআইএল এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নেতৃত্ব দেওয়া জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।

আল-শারা, যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি নামেও পরিচিত, একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখাটির নেতৃত্ব দিলেও, এক দশক আগে তিনি তার বিদ্রোহী দল নিয়ে সেই নেটওয়ার্ক থেকে বেরিয়ে এসে পরে আইএসআইএল-এর সাথেও সংঘর্ষে জড়ান। একসময় তাঁর মাথার দাম ১ কোটি মার্কিন ডলার ধার্য ছিল।

এই সফরের পরিকল্পনা এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের অস্থির অঞ্চলে একটি স্থায়ী শান্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছেন, বিশেষ করে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর। পাশাপাশি, সিরিয়া ও ইসরায়েলও ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ ও দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। মার্কিন মধ্যস্থতায় এই আলোচনা চলছে।

সূত্র: আল জাজিরা

আরপি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৪ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব দিয়েছে সরকার Nov 03, 2025
img
ব্যক্তিজীবনের আভাসে আলোচনায় পল্লবী শর্মা! Nov 03, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান নিয়মিতই পরিবর্তন করছে : জিল্লুর রহমান Nov 03, 2025
img
মালির রাজধানী বামাকো দখলের দ্বারপ্রান্তে ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী Nov 03, 2025
img
শুটিং সেটে শাহরুখকে মোটেই ‘বাবা’ বলে ডাকেন না আরিয়ান Nov 03, 2025
img
বিশ্বকাপ জিতে রেকর্ড প্রাইজমানি ভারতের, বাকিরা কত পেল? Nov 03, 2025
img
রাজধানীর আবহাওয়া শুষ্ক, বাড়বে গরমের অনুভূতি Nov 03, 2025
img
যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল Nov 03, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আজ Nov 03, 2025
img
ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা কঠিন নয়: সন্দীপ্তা সেন Nov 03, 2025
img
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে প্রাণ গেল ৭ জনের, আহত ১৫০ Nov 03, 2025
img
আজ জেলহত্যা দিবস Nov 03, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Nov 03, 2025
img
৩ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে কী ঘটেছিল Nov 03, 2025
img
হাবিবুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Nov 03, 2025
img
৫২তে পা রাখলেন অভিনেত্রী মৌসুমী মৌসুমী,ফেরা হয়নি দেশে Nov 03, 2025
img
জেনে নিন আজ দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Nov 03, 2025
img
আজ দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা Nov 03, 2025
img
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪ Nov 03, 2025
img
গোপনে মাস্ককে ২০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা প্রকল্প দিলেন ট্রাম্প Nov 03, 2025