রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, প্রধান ইস্যু এখন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোটের সময় ও পদ্ধতি ও নোট অফ ডিসেন্টসহ অন্যান্য বিষয়। এই ধরনের সমঝোতা ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেল জাহেদস টেইক-এ এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতীক সংক্রান্ত ইস্যুতে আগে এনসিপি ও ইসির মধ্যে কিছু সংঘাত দেখা দিয়েছিল।
এনসিপি কিছু দিন ধরে ইসির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রাখছিল। সম্প্রতি আসিফ মোহাম্মদ সাজিব ভুইয়ার সঙ্গে ইশরাক হোসেনের বিবাদ ও ঢাকার দক্ষিণ মেয়রের ঘোষণা এই সংঘাতকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময় এনসিপির অনেকে আসিফ মাহমুদ সজীবের পাশে দাঁড়ান এবং ইসির কাছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, শাপলাকলি প্রতীক নিয়ে এনসিপি চমৎকার একটা পলিটিক্যাল ম্যাচিউরিটি দেখিয়েছে।
বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্ব সরকার নিয়ন্ত্রণ করলেও, সংবিধানের ১২ ও ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি স্বাধীন ক্ষমতা রয়েছে। আর সংসদ নির্বাচন ও দল নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়গুলো ‘আরপিও’ আইনের আওতাধীন, যেখানে ইসিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাই ইসি যদি শাপলা প্রতীক দাবি সহজে মেনে নিত, তাহলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও দাবি তুলতে পারত যে ইসি একটি নতুন দলের চাপে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এতে ইসির নিরপেক্ষতা ও কর্তৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
তিনি বলেন, বিষয়টি মূলত আইনি বা আইনগত সমস্যা নয়, বরং রাজনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সংকট তৈরি হয়েছিল। ইসি যদি এনসিপির চাপে নতি স্বীকার করে তাদের পছন্দের প্রতীক তালিকায় যুক্ত করত, তাহলে ইসির কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠত। কারণ, শাপলা প্রতীকটি আগে থেকে নিবন্ধিত প্রতীক তালিকায় ছিল না।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে সংঘাত বা সংকট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উভয় পক্ষই মুখরক্ষা করতে পেরেছে যা একধরনের সফল সমঝোতার উদাহরণ।
এমআর/টিকে