টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাউলজানীতে স্লোগান দিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মাস্টারের বিএনপির আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ায় উপজেলার সুন্যা ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা রুকনুজ্জামান ও আব্দুল করিমের নেতৃত্বে আয়োজিত বিএনপির আনন্দ মিছিলে নজরুল ইসলাম স্লোগান দিয়ে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
নজরুল ইসলাম কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুন্যা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি ৫ আগস্টের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দেন। পরে তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৩ নভেম্বর) টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে রাতে উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুন্যা মধ্যপাড়া ও পূর্বপাড়া এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও সুন্যা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুকনুজ্জামান এবং ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল করিমের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলে কাউলজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামকে বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়রা মিছিলের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়।
কাউলজানী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রুকনুজ্জামান বলেন, তাকে মিছিলে আসার জন্য বলা হয়নি। তিনি হঠাৎ করেই মিছিলে অংশ নেন।
নজরুল ইসলাম বিএনপির কেউ নন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুন্যা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন কাউলজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা রুকনুজ্জামানের অনুরোধে মিছিলে গিয়েছিলাম। মিছিলে স্লোগান দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
এমআর