জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পূর্বঘোষিত ২৭ নভেম্বরের পরিবর্তে ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর তিনটায় নির্বাচন কমিশনের জকসুর তফশিল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের মন রক্ষা করতে নির্বাচন কমিশন ২৬ দিন নির্বাচন পিছিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে কমিশনকে পক্ষপাতিত্ব থেকে বের হয়ে সবার চিন্তা করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানাই।
শাখা সভাপতি বলেন, ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি তৈরি করেছে, যারা নির্বাচনকেন্দ্রিক সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেসময় ২৭ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেয়। তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একটি পক্ষ নির্বাচন পেছানোর জন্য জোরাজোরি করে। তাদের মন রক্ষার্থে নির্বাচন কমিশন ২৬ দিন পিছিয়ে ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। আগে ডাকসু, রাকসু ও চাকসু বানচালের জন্য এই গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি আরো বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে আমরা ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন মেনে নিচ্ছি। তবে আমরা আশা করবো, নির্বাচন কমিশন তাদের এই পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিহার করবে এবং সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে জবি শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ, বায়তুলমাল সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
টিএম/টিএ