ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রায়ই দেখা যায় অঘটন। বড় বড় দলকে হারিয়ে দেয় নতুন উঠে আসা ক্লাবগুলো। তেমন কিছু হয়নি চেলসির সঙ্গে। তবে তারকায় ঠাঁসা দল নিয়েও আজারবাইজানের ক্লাব কারাবাগের সঙ্গে জিততে পারেনি তারা।
কারাবাগের মাঠে খেলতে গিয়ে পরাজয়ের মুখ থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে চেলসি। তাদের হয়ে গোল দুইটি করেন এস্তেভাও ও আলেজান্দ্রো গার্নাচো। আজারবাইজানের ক্লাবের হয়ে জাল কাঁপান লেয়ান্দ্রো আন্দ্রাদে ও মার্কো ইয়াঙ্কোভিচ।
অথচ নামের ভার, ইতিহাস কিংবা শক্তির বিচারে কারাবাগের চেয়ে অনেক এগিয়ে চেলসি। দুই দলের মোট বাজার দরের হিসেবেও চেলসির সামনে রীতিমতো চুনোপুঁটি কারাবাগ।
ইংলিশ ক্লাবটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দেড় বিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি মূদ্রায় ২৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে কারাবাগ মাত্র ২২ মিলিয়ন ডলার বা সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
এর বাইরে মাঠের হিসেবেও পরিসংখ্যান ছিল না কারাবাগের পক্ষে। ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে খেলা আগের সাত ম্যাচের সবকটিই হেরেছিল তারা। চেলসির বিপক্ষে সবশেষ দেখায় দুই লেগ মিলিয়ে তাদের হারের ব্যবধান ছিল ১০-০!
কাগজে-কলমের সব হিসেব মাঠে প্রায় ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল কারাবাগ। তবে ১৬ মিনিটে এস্তেভাওর গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় চেলসি। ২৯ মিনিটে সেটি শোধ করেন আন্দ্রাদে।
প্রথমার্ধেই লিড নেয় কারাবাগ। ডি-বক্সের ভেতরে জোরেল হাতো হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় তারা। স্পট কিক থেকে কোনো ভুল করেননি ইয়াঙ্কোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পরাজয়ের শঙ্কা এড়িয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন চেলসির আর্জেন্টাইন তারকা গার্নাচো। এরপর দুই দলই সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।
চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২ নম্বরে চেলসি। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ১৫ নম্বরে কারাবাগ।
আইকে/এসএন