ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-এর সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। এশিয়া কাপ ২০২৫–এর পর এই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন। এরপর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি কাছ থেকে বিজয়ী ভারত দল ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় দুই বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ক্রিকেটে রাজনীতির কোনো স্থান নেই।
তিনি উইজডেন ক্রিকেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দুঃখিত, কিন্তু ক্রিকেটে রাজনীতি আমি পছন্দ করি না। সোজাসাপটা বললে, খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত। লিগ ক্রিকেটে সব দেশের খেলোয়াড়দের নেওয়া উচিত।
সাহসী হোন, বড় হোন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হচ্ছে না। এখানেই আইসিসি ও ক্রিকেট বোর্ডগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দল বা লিগ কার মালিকানায় তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সব দেশের খেলোয়াড়দেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।’
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, এশিয়া কাপ ২০২৫–এর ট্রফি হস্তান্তর নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছে, তা দুবাইয়ে চলমান আইসিসির ত্রৈমাসিক সভায় শুক্রবার আলোচনা হতে পারে।
সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘শুক্রবার সব বোর্ড প্রধান আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে একত্র হবেন এবং সেখানেই ট্রফি হস্তান্তর ইস্যুটি বিসিসিআই তুলবে। এ বিষয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়াও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রফি হস্তান্তরে বিলম্ব নিয়ে তারা আলোচনায় তুলবেন, এবং ১০ দিন আগে এ বিষয়ে এসিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে এই অচলাবস্থা তৈরি হয় যখন সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারত, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সালমান আঘার পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা জেতে।
কিন্তু ম্যাচ–পরবর্তী উদযাপনে ঘটে অভাবনীয় ঘটনা। ভারতীয় দল বিজয়ী ট্রফি বা মেডেল নিতে অস্বীকৃতি জানায় এসিসির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে যিনি একই সঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিসিবির চেয়ারম্যান।
দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ট্রফি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় মাঠে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। ট্রফিবিহীন উদযাপনে শেষ হয় ভারতের শিরোপা জয়।
আইকে/এসএন