মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে প্রথমবারের মতো একজন দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম রাজনীতিক নেতৃত্বের শীর্ষ আসনে পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন জোহরান মামদানি। তার এই অভূতপূর্ব অর্জন শুধু নিউইয়র্ক নয়, বিশ্বজুড়ে বিস্ময় ও আলোচনার ঝড় তুলেছে। পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতিতে তিনি খুলে দিয়েছেন বহুত্ববাদ ও অন্তর্ভুক্তির এক নতুন অধ্যায়। এবার জোহরান মামদানির উদ্দেশে বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মমদানির ঐতিহাসিক জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, অভিনন্দন জোহরান মামদানি। নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র! ইতিহাস সৃষ্টি হলো। অভিনন্দন, মীরা নায়র।
স্টোরিতে প্রিয়াঙ্কা জোহরানের সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। পাশাপাশি তিনি অভিনন্দন জানান জোহরানের মা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারকে। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত উগান্ডা-ভারতীয় স্কলার মাহমুদ মমদানি। বহুসাংস্কৃতিক ও শিক্ষিত এই পরিবার থেকেই উঠে এসেছে নিউইয়র্কের নতুন ইতিহাস রচয়িতা।
জোহরান মমদানি জন্মেছিলেন উগান্ডার কাম্পালায়। পরে পরিবারসহ কেপটাউন হয়ে নিউইয়র্কে চলে আসেন। তিনি দ্য ব্রঙ্কস হাই স্কুল অব সায়েন্স থেকে পাস করে বউডইন কলেজে আফ্রিকানা স্টাডিজ নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তার জয়কে অভিবাসী সম্প্রদায়সহ পুরো নিউইয়র্ক উদযাপন করছে।
অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০১৬ সালে কোয়ান্টিকো সিরিজের শুটিংয়ের সময় নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। ২০১৮ সালে নিক জোনাসকে বিয়ে করার পর তারা দুজন এবং তাদের কন্যা মালতি মেরি এখন নিউইয়র্কেই থাকেন। শহরটির প্রতি তার গভীর টানও আছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে হাডসন নদী ও স্কাইলাইনের দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দৃশ্য তাকে শান্তি দেয়, সৃজনশীলতাও বাড়ায় এবং প্রতিদিন নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করে।
জোহরান মমদানির ঐতিহাসিক বিজয়কে ঘিরে এখন পুরো নিউইয়র্কজুড়ে উদযাপনের আবহ। প্রিয়াঙ্কার উচ্ছ্বাসও যেন এই নতুন অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি যেখানে বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য আর সমান সুযোগের মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ।
ইএ/এসএন