প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে আসামি খুরশীদ আলমের পক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার বাদীকে জেরা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত জেরার অনুমতি দেন।
এ বিষয়ে দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল।
আসামিপক্ষে তার জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এই মামলায় বাদীকে জেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আসামি সজীব ওয়াজেদ জয়ের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার আংশিক জেরা হয়েছে। তবে আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ১০ নভেম্বর তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।’
এর আগে গত ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা পরিবারের পৃথক ছয় মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরো অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
টিএম/টিকে