এই সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নীহা। একেবারে প্রথম যেদিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন নিশ্চয়ই এখনকার মতো সাবলীল ছিলেন না। কেমন ছিল প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
ভিজ্যুয়াল ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়াই প্রবীর দাদার [প্রবীর রায় চৌধুরী] ‘লাভ সেমিস্টার’ নাটকে।
নতুন মুখ খুঁজছিলেন প্রবীর দাদা। তখন ইমরাউল রাফাত ভাই আমার নাম বলেছিলেন। রাফাত ভাইয়ের সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয়।
তিনিও একাধিকবার আমাকে অভিনয়ের অফার দিয়েছিলেন।
কম বয়স আর পরীক্ষা থাকার কারণে তখন রাজি হইনি। পরে প্রবীর দাদার অফার পেয়ে ভেবেচিন্তে শখের বসেই রাজি হই। প্রবীর দাদা নাটকের চরিত্রটা সম্পর্কে পুরো ধারণা দিয়েছিলেন, গ্রুমিংও করিয়েছিলেন।
প্রস্তুতি শেষে অবশেষে যেদিন শুটিং শুরু হলো, আমার কোনোভাবেই ভয় কাটছিল না।
প্রবীর দাদা বললেন, শুটিং স্পটের সবার সঙ্গে যেন নিজে গিয়ে কথা বলি। এতে সহজে মিশতে পারব। আমি তা-ই করি।
খুব কাজে দিয়েছিল। যদিও প্রবীর দাদা প্রথম দিন আমার কোনো সংলাপ রাখেননি, শুধু দুইটা মোমেন্ট রেখেছিলেন।
চারদিকে ক্যামেরার সামনে আমি যখন ভয়ে ভয়ে প্রথম সংলাপহীন অভিনয় করলাম, তখনই ভয় কেটে গিয়েছিল। পাশাপাশি সবাই আমাকে সাহস দিচ্ছিল, প্রশংসা করছিল। পরের দৃশ্যে সেই ভয়টা আর ছিল না।
এভাবেই আমার প্রথম দিনের শুটিং শেষ হয়।
সেদিনের পুরো সময়টাই আমার কাছে বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে, কোনো দিন ভুলতে পারব না। মুক্তির পর প্রথম যখন দৃশ্যটা পর্দায় দেখি, আমার খুব লজ্জা লাগছিল। মা-বাবাসহ নিকটজনরা মুখিয়ে ছিল নাটকে আমাকে দেখতে। প্রবীর দাদা আমার জন্য সুন্দর সূচনা করে দিয়েছিলেন। জোভান ভাইও সহশিল্পী হিসেবে খুব সাপোর্টিভ ছিলেন, যার কারণে আমরা এখন পর্যন্ত আটটি নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি আমিও, যে কারণে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে গিয়েছিলাম শখের বসে, আর এখন ‘লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের’ মধ্যেই দিন কাটে আমার। দর্শকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রথম নাটকে আমি বেশ ভালো পারিশ্রমিকও পেয়েছিলাম, তবে টাকার অঙ্ক বলতে চাচ্ছি না। যদি পারিশ্রমিক না-ও পেতাম, তবু আমি নাটকটি করতাম।
টিএম/টিএ