ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে আগামী ১৩ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবে নেপাল জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ের আগেই দেশটির ফুটবলে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা ও অসন্তোষের ঝড়।
বৃহস্পতিবার ললিতপুরে অবস্থিত অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএনএফএ) কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভে নামে নেপালের পেশাদার ফুটবলাররা। তাদের দাবি ‘এ’ ডিভিশন লিগ (প্রিমিয়ার লিগ) দ্রুত পুনরায় চালু করতে হবে।
আজ সকাল ১১টার দিকে খেলোয়াড়রা কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হলেও, নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নেপাল ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনএফপিএ) কর্তৃপক্ষ এএনএফএর কাছে তাদের দাবি জানানোর অনুমতি চাইলেও সংস্থা তা প্রত্যাখ্যান করে।
এ সময় আনফা’র মুখপাত্র সুরেশ শাহ মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও, সংস্থার সভাপতি পঙ্কজ বিক্রম নেমবাং ও সাধারণ সম্পাদক কিরণ রাই ছিলেন কাঠমান্ডুর বাইরে। অপেক্ষার এক ঘণ্টার পর ফুটবলাররা গেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
এনএফপিএ সভাপতি বিক্রম লামা বলেন, ‘আমরা চাই নেপালি ফুটবলে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক। দীর্ঘদিন ধরে ফুটবল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় খেলোয়াড়দের জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। যদি এএনএফএ এক সপ্তাহের মধ্যে এ ডিভিশন লিগ পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা না দেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’
এই বিক্ষোভে জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার রোহিত চন্দ, অঞ্জন বিস্তা, এবং সাবেক অধিনায়ক বিরাজ মহার্জন সহ অনেকেই অংশ নেন। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দুই বছর ছয় মাস ধরে শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা না থাকায় অনেক ফুটবলার এখন বেকারত্বের মুখে।
এএনএফএ ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, চলতি বছর ‘এ’ ডিভিশন লিগ অনুষ্ঠিত হবে না, তার বদলে একটি ন্যাশনাল লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা বলছেন এটি খেলোয়াড়দের প্রতি ‘চরম অবিচার’।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন প্রীতি ম্যাচের আগে এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে নেপালি ফুটবলের প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যখন মাঠে লড়াইয়ের জন্য খেলোয়াড়দের মনোযোগ থাকা উচিত, তখন তারা আন্দোলনের মিছিলে যা নেপালি ফুটবলের বর্তমান সংকটের গভীরতাকেই স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
টিএম/টিএ