মোহাম্মদ আশরাফুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর ২ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন ফিল সিমন্স। ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেন বাংলাদেশের বর্তমান কোচ। স্বাভাবিকভাবেই তাই ২০০১ সালে অভিষেক হওয়া আশরাফুলের সুযোগ হয়নি সিমন্সকে বল করার। কিংবা তার বলে ব্যাটিং করার।
প্রতিপক্ষ হয়ে একে-অপরে খেলার সুযোগ না পেলেও একসঙ্গে এবার বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সিমন্সের অধীনেই কাজ করবেন আশরাফুল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে তাকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান কোচের সঙ্গে তার সম্পর্কটা কেমন আজ সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল আশরাফুলের কাছে।
দুজনের সম্পর্ক বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন আশরাফুল। সিমন্সের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় কিভাবে হয়েছিল সেটা গল্প আজ শুনিয়েছেন তিনি। কোচ হওয়ার পর প্রথমবার বিসিবি কার্যালয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বল বয় থাকার সময় গুগলিতে প্রধান কোচকে পরাস্ত করেছিলেন তিনি।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে উইলস কাপ হয়েছিল।
সেই টুর্নামেন্টে বল বয় ছিলেন আশরাফুল। সেই সময় সিমন্সের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় জানিয়ে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘দেখেন, আমাকে যারা চিনেন সবাই জানে আমার সঙ্গে তাদের খুব ভালো সম্পর্ক। যেহেতু আমি খেলাটা প্রচুর ফলো করি। সিমন্সের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হলো ১৯৯৮ উইলস কাপে। তখন আমি বল বয় ছিলাম।
সেই টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম রানার্সআপ আর সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বল বয় হওয়ায় নকিংয়ের সময় তাকে আমি লেগ স্পিন করেছিলাম একটা বল। সেকেন্ড বলটা করেছিলাম গুগুলি। গুগুলিটা তিনি পড়তে পারেননি।’
গুগলিতে পরাস্ত হওয়ার পর সিমন্স তাদের লেগ স্পিনার রল লুইসকে ডেকে তা শিখতে বলেছিলেন বলে জানান আশরাফুল। লেগস্পিনে ৪৭ উইকেটের মালিক বলেছেন, ‘তাদের টিমে রল লুইস ছিলেন লেগ স্পিনার। তিনি (সিমন্স) সঙ্গে সঙ্গে লুইসকে ডেকে বলেন, প্রতিদিন যেন ম্যাচ শেষে আমার সঙ্গে আধাঘণ্টা বোলিং করেন। আমার থেকে যেন গুগুলিটা শিখে নেন। সেই থেকে আসলে ফিল সিমন্সের সাথে আমার সম্পর্ক। তারপর ন্যাশনাল টিমে খেললাম, সে কোচ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের। তার সঙ্গে সম্পর্কটা এভাবেই আসলে ক্লোজ।’
টিজে/টিএ