ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ড যেই করুক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টায় ঘটে যাওয়া ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে —এমন অভিযোগ ওঠায় ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলাকার মানুষ যাতে নিরাপদ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেজন্য পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া, ডাকাতির ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলমান।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সামনেই স্থানীয় নারীরা পাট্টা ইউনিয়ন বীট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুরছে বলেও অভিযোগ করেন।
অপর দিকে কয়েকজনের নাম উল্লেখ্য করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকিদুল ইসলাম বিশ্বাস বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন।
সব বিষয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার ও পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, আমরা নিজেরা ভালো হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আপনারা নিজেদের মধ্যে সংঘাত পরিহার করুন, দেখবেন শান্তি ফিরে আসবে।
সম্প্রতি পাট্টায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করায় প্রকাশ্যে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমোর কুমার দাসকে।
এর আগে, গত শনিবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সমোর কুমার দাসের বাড়িতে চারজন অস্ত্রধারী ডাকাত মুখোশ পরে প্রবেশ করে। বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। এ সময় ওই শিক্ষককের স্ত্রী ও ছেলে বাধা দিতে গেলে তাদের মারপিট করে। পরে মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ঘরে রাখা এক লাখ টাকা ও মেয়ের ব্যবহারের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাত দল।
এ ছাড়া, পাংশা মডেল থানার একটি টিম বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে পাট্টা বিলপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও হামলা মামলার আসামি ধরতে গেলে পাট্টা বিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা আসামি সেন্টু (২৬), সজিব (২৫), সবুজসহ (৩০), আরও ১০ থেকে ১২ জন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। সেইসঙ্গে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় আকুল (৫৫) নামের একজন আহত হন। এ ঘটনায় আলম শেখ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কেএন/এসএন