জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, আমার কাছে মনে হয় দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমেই যেন একটা জটিল দিকে যাচ্ছে। এটা এ কারণে বললাম যে আমরা দেখেছি এতদিন ধরে যে সরকারের যেকোনো কর্মকাণ্ড, যেকোনো ইস্যুতে বিএনপি তাদেরকে এক ধরনের নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে। মাঝে একবার অল্প কিছুদিনের জন্য একটু ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু ১৫ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সেই মিটিংয়ের পর বিএনপি ঘোষণাই করেছিল, তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্ত কিছুর সঙ্গে একমত পোষণ করছে।
কিন্তু সেই যে ভালোবাসার সম্পর্ক, প্রেমের সম্পর্ক, যা-ই বলি না কেন, সেই প্রেম যেন ভেঙে গেছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদ কামাল বলেন, সর্বশেষ আজকে যে নয়াপল্টনের সামনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে র্যালির আগে বিএনপির একটি সংক্ষিপ্ত সভা হয়েছিল। সেই সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের। আজকে অন্তর্বর্তী সরকার যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি, তারা আজকে নিজেরাই একটা অবস্থা তৈরি করেছে, যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। তার মানে নির্বাচন যাতে ফেব্রুয়ারিতে না হয় অথবা নির্বাচন যাতে বাধাগ্রস্ত হয়, তার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই একটা সমস্যা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, অভিযোগ করেছে কে? অন্তর্বর্তী সরকারের এতদিনের সবচেয়ে বড় প্রেমিক বিএনপি। কেন? এই সম্পর্কটা কেন হলো? এই সম্পর্কটা যে ভেঙে গেল, এই যে বিরোধটা তৈরি হলো- এর পেছনে মূল ঘটনা হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে পদ্ধতিটা, সেটা নির্ধারণের জন্য যখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ হস্তান্তর করল প্রধান উপদেষ্টার কাছে, গণভোট করতে হবে এবং সেই গণভোটের মধ্যে কী থাকবে, কী প্রশ্ন থাকবে জনগণের কাছে- সেটা যখন উপস্থাপন করা হলো, তখন সেখানে বিএনপি প্রতিবাদ করল।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি বলল যে আমরা যে সমস্ত পয়েন্টে আপত্তি করেছিলাম (নোট অফ ডিসেন্ট), সে আপত্তির কথাগুলো উল্লেখ না করেই এই প্রস্তাবনাগুলো দেওয়া হয়েছে। আমি যে আপত্তি করেছিলাম, সেই জিনিসটা এখানে আর নাই। তাহলে জনগণের কাছে যখন যাবে এটা, জনগণ কী দেখবে?