চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষ সপ্তাহে অন্তত ৮ ধরনের খাবার গ্রহণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) যৌথভাবে প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চট্টগ্রামের খাদ্যগ্রহণ সূচক সবচেয়ে বেশি ৮১.৪ শতাংশ। একই সূচক ঢাকায় ৭৬.১ শতাংশ।
প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, চট্টগ্রামের মানুষ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে সচেতন। এ কারণে এই বিভাগের মানুষের খাদ্যাভ্যাস “গ্রহণযোগ্য” পর্যায়ে রয়েছে। জরিপ অনুযায়ী, সপ্তাহে অন্তত আট ধরনের খাদ্য গ্রহণ মানে শুধুমাত্র পুষ্টির ভারসাম্য নয়, পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাদ্যাভ্যাসের এমন বৈচিত্র্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা সতর্ক করেছেন, শহরাঞ্চলগুলোতে যদিও খাদ্যের সহজলভ্যতা বেশি, তবে পুষ্টিকর খাবারের গ্রহণে সচেতনতা কম থাকায় ঢাকার মতো মহানগর অন্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রাম এগিয়ে রয়েছে।
জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের তথ্য, যাতে জাতীয় পর্যায়ে খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি সংক্রান্ত চিত্র স্পষ্টভাবে উঠে আসে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন নীতিনির্ধারক সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও ভবিষ্যতের খাদ্য নীতি পরিকল্পনায় সহায়ক তথ্য পাবে।
এসএস/টিএ