আসন্ন অ্যাশেজে অভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ নিয়েই খেলবে অস্ট্রেলিয়া। বোলারদের বয়স অনুযায়ী যথার্থ পারফরম্যান্স নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও সেটি উড়িয়ে দিচ্ছেন জশ হ্যাজেলউড-নাথান লায়নরা। বয়সকে স্রেফ 'সংখ্যা' বলছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।
অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ স্পিনার নাথান লায়ন অ্যাশেজ চলাকালীন ৩৮ বছরে পৌঁছাবেন। বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ৩৫ বছর বয়সী। দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বয়স বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম (৩২)। প্রথম অ্যাশেজ টেস্টে তিনি খেলতে পারবেন না। তার পরিবর্তে ৩৬ বছর বয়সী স্কট বোল্যান্ডকে দলে নেয়া হচ্ছে।
৩৪ বছর বয়সী হ্যাজেলউড বলেন, 'আমি অনেক দিন ধরেই যে অবস্থায় আছি তার চেয়ে এখন সেরা ফিটনেসে আছি। এই অভিজ্ঞতা শুধু রেড বল ক্রিকেটে নয়, সব ফরম্যাটে আমাদের কাজে আসে। আমরা একে অপরের খেলা এত ভালোভাবে জানি যে একে অপরকে সাহায্য করতে পারি।'
নাথান লায়নের কথাও হ্যাজেলউডের সঙ্গে মিলে যায়, 'খেলাধুলা পুরোপুরি বদলে গেছে। আজকাল সবকিছু অনেক বেশি পেশাদারী, বিজ্ঞান এবং রিকভারি পদ্ধতির সঙ্গে। বয়স শুধু একটি সংখ্যা, আমি এখনো সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই।'
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের দুই অভিজ্ঞ বোলার নিজেদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে একসাথে খেলে আসায় দলগতভাবে তাদের বোলিংয়ের ধার ক্রমশই বাড়ছে বলে বিশ্বাস দুজনের।
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ইউনিটের অভিজ্ঞতা ও ফিটনেসকে দেখেই সমর্থকরা দলকে সিরিজে শক্ত অবস্থায় দেখার আশা করছেন। যদিও ছেড়ে কথা বলবে না ইংল্যান্ডও। জো রুট, হ্যারি ব্রুকরাও আছেন অসাধারণ ফর্মে।
এসএস/টিএ