কাল থেকে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

আগামীকাল রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জড়ো হয়ে এ ঘোষণা দেন তারা। এর আগে দশম গ্রেডের বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘পেন ড্রপ’ কর্মসূচি পালনকালে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহিদ মিনারে অবস্থান নেয়ার পর বিকেলের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ‘পেন ড্রপ’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে শাহবাগে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার পর শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে দু’পক্ষেরই কয়েকজন আহত হন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকেলে শাহবাগে ‘পেন ড্রপ’ কর্মসূচিতে প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে একদল কলম দিয়ে গেলেও পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে শিক্ষকদেরই আরেকপক্ষ। সেসময় তাদের নিয়ন্ত্রণ ও ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে যে কয়েকটা গ্রুপ আছে এটা আমরা জানি না। তাদের মধ্যে এক দল এসে শান্তিপূর্ণভাবে কলম দিয়ে যায়। আমার হাতে সে কলমগুলো এখনও আছে। কিন্তু এরপরই অন্য একদল আমাদের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।’

এদিকে শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো কারণ ছাড়াই আক্রমণ করেছে পুলিশ। অন্যায়ভাবে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

এর আগে সকাল থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে চারটি সংগঠনের শিক্ষকরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। দুপুরের পর তারা শাহবাগ অভিমুখে রওনা দেন। এরপরই পুলিশের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের দাবি, সরকারের সবশেষ সিদ্ধান্তে তাদের দাবির প্রতিফলন ঘটেনি, তাই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতে ইসলামী একটা রাজনৈতিক দল, তারা ইসলাম না : আবুল কালাম Nov 08, 2025
img
ডলবি অ্যাটমস সাউন্ডে আসছে 'ব্যাকস্ট্রিট বয়েজের' 'ক্রিসমাস হিট' Nov 08, 2025
img
১৩ নভেম্বর ঘিরে উসকানি, অবৈধ কর্মকাণ্ডে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: পুলিশ সদর দপ্তর Nov 08, 2025
img
নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায় কিছু দল : হাফিজ উদ্দিন Nov 08, 2025
img
মেয়ে বিশ্বকাপ জয় করায় চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা Nov 08, 2025
img
২০২৭-এ বিরতিতে যাবে আয়রন মেইডেন! Nov 08, 2025
img
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি ভালোভাবে চলবে : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Nov 08, 2025
img
নেইমারকে দলে ফেরার টিপস দিলেন কোচ আনচেলত্তি Nov 08, 2025
img
বিএনপির হয়ে উত্তরা কেন্দ্রিক আসন থেকে নির্বাচন করতে চান স্নিগ্ধ Nov 08, 2025
img
গডফাদারের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ চলবে না : মান্নান Nov 08, 2025
কেন আবারো মাঠে শিক্ষকরা? এ্যাকশনে পুলিশ Nov 08, 2025
ড. ইউনূসের শব্দচয়ন নিয়ে হুঙ্কার ভারতের Nov 08, 2025
অভিযান শুরু হতেই খাবার ঢেকে দিল ক্যান্টিন! মহসীন হলে চা'ঞ্চ'ল্য Nov 08, 2025
‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ Nov 08, 2025
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে চলছে ব্যবসা! মহসিন হলে হাতে-নাতে ধরা দোকান বন্ধ Nov 08, 2025
আবারও মাঠে শিক্ষকরা; প্রথম দিনেই এ্যাকশনে পুলিশ | Nov 08, 2025
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি Nov 08, 2025
img
যারা ভোট নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারা কামিয়াবি হবে না : ডা. জাহিদ Nov 08, 2025
img
বিনিয়োগ করতে চায় জাপান, বড় সমস্যা দুর্নীতি : জেট্রো Nov 08, 2025
img
রাজনৈতিক দলে নারী মনোনয়ন ৫ শতাংশে নেমেছে: তাসলিমা আখতার Nov 08, 2025