দুর্নীতির মামলায় আসামি যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ১১ শতক জমিসহ ৬ তলা ভবন, গুলশানের চারুত হোমস লি.-এ ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৬ টাকার একটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুরে ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৫ টাকার মূল্যের ১৯৫ দশমিক ২১ শতাংশ জমি, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ৯৯ দশমিক ২৩৯১ একর জমি ক্রোক করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এসব সম্পদের মূল্য ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৯২ টাকা দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫ ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে থাকা ৬১ লাখ ২ হাজার ৭৬১ টাকা এবং ৬২ কোম্পানির ২২ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং তার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ৪৫টি হিসাবে জমা মোট ৫৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ টাকা ও উত্তোলন মোট ৫৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার চার টাকাসহ মোট ১০৯ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৮ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করায় গত ১৯ আগস্ট দুদক মামলা করেছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া একান্ত জরুরি।
আসামি তার নামে অর্জিত স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর/স্থানান্তর/দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা (অবরুদ্ধ) আবশ্যক।
এমকে/এসএন