চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত বগি রাখার দাবি জানিয়েছে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব, চবি শাখা। এ দাবির সমর্থনে সংগঠনটি প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব চবি শাখার সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনের কাছে ওই গণস্বাক্ষর হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাকসুর সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত, সহ-যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল সালমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এবং বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব, চবি শাখার সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ প্রমুখ।
চাকসুর সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত বলেন, অনেক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে ভিড়ের মধ্যে শাটল ট্রেনে পুরুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাতায়াতে তারা অস্বস্তি বোধ করেন। অনেকেই অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক স্পর্শের শিকার হয়েছেন। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করাও তাদের জন্য অস্বস্তিকর। এমনকি কেউ কেউ এই কারণে শাটল ট্রেনের পরিবর্তে বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করছেন।
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শাটল ট্রেনে মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত বগির দাবি উঠেছে। বাংলাদেশে মেট্রোরেলে নারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত বগি রয়েছে। একইভাবে ভারত, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, জাপান, মিশর, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশেও নারী যাত্রীদের জন্য এ ব্যবস্থা চালু আছে। আমরা অবিলম্বে চবি শাটল ট্রেনে মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত বগি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নিয়াজ মাখদুম বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবামূলক সংগঠন হিসেবে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব সংরক্ষিত বগি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বাক্ষর দিয়েছেন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চার হাজার শিক্ষার্থীর এই দাবি যৌক্তিক। এখন যেহেতু নির্বাচিত চাকসু রয়েছে, আমি বলব চাকসুর মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করা হোক। আশা করি এর একটি ভালো সমাধান আসবে।
ইউটি/টিএ